দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

প্রবল দুর্যোগ, বুধবার কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না: মমতা

May 19, 2020 | 2 min read

‘মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো আম্পান ।’ মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় আম্পান নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এই কথাই বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাতে এই আম্পান আছড়ে পড়লেও কলকাতাবাসীর যে রেহাই নেই, এ-ও কথাও পরিষ্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই আম্পান ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রাজ্যের কন্ট্রোল রুম নম্বর এবং টোল ফ্রি নম্বরও জানিয়ে দিলেন মমতা।

আম্পান সতর্কতায় মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন –

  • আগামীকাল থেকে পরশু (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার অবধি) বাড়ির বাইরে কেউ বেরোবেন না।
  • এই সময়ে কেউ সমুদ্রে যাবেন না।
  • দুই ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • তিন লক্ষ মানুষকে আশ্রয়স্থল সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
  • উত্তর ২৪ পরগণায় ৫০ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০ হাজার লোককে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে।
  • আম্পান নিয়ে সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।
  • অনেকে বলছেন আয়লার থেকেও ভয়ংকর হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়।
  • কন্ট্রোল রুম নম্বর – ২২১৪-৩৫২৬ এবং ২২১৪-১৯৯৫
  • ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের (টোল ফ্রি) নম্বর – ১০৭০

এ দিকে আম্পান নিয়ে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্য প্রশাসনের একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় মুখ্যমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই এই ঝড়ে প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার সারাদিনই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতিভারী বৃষ্টি হবে কলকাতায়। কলকাতায় সকালের দিকে এই ঝড়ে গতিবেগ থাকতে পারে ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। হাওয়া অফিসের আশঙ্কা এই ঝড়ের গতিবেগ ১১০-১৩০ কিলোমিটারও হতে পারে।

এই আম্পানের ঝাপটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকায়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সর্বত্র ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। আম্পানের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলী, নদীয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার কলকাতা পুরসভায় উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে নিকাশি, বিল্ডিং, লাইটিং দফতরকে বিশেষ তৎপর হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সিইএসসির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দুর্যোগের সময় যাতে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত না, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সোমবারই শহরের পাম্পিং স্টেশনগুলি ঘুরে দেখেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর নিকাশি বিভাগের সদস্য তারক সিং। সেগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। যে সমস্ত পাম্পের অবস্থা ভালো নয় জরুরি ভিত্তিতে সেগুলিকে মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Cyclone Amphan, #WestBengal, #Mamata Banerjee

আরো দেখুন