অমানবিক যোগী সরকার – মৃতদেহের সঙ্গে একই ট্রাকে ফেরানো হল ঝাড়খণ্ডের পরিযায়ী শ্রমিকদেরও
খোলা ট্রাকের এক কোণে ডাঁই করে রাখা কালো প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ। আরেকদিকে গুটিশুটি মেরে বসে আছেন জখম কয়েকজন মানুষ। উত্তর প্রদেশ থেকে ঝাড়খণ্ডগামী ট্রাকের এই ছবি দেখে হতচকিত দেশবাসী। আর তাঁর রাজ্যের বাসিন্দাদের এহেন দুর্দশায় অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। উত্তর প্রদেশ সরকারের এই কাজকে ‘অমানবিক’ এবং মৃতদের সঙ্গেই জীবিতদেরও সম্মানহানিকর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত শনিবার ভোর ৩.৩০ মিনিট নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে উত্তর প্রদেশের ঔরৈয়ায় ট্রাক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ২৬জন পরিযায়ী শ্রমিক। জখম হয়েছিলেন ৩০জনেরও বেশি। মৃতদের মধ্যে ১০জন ঝাড়খণ্ডের বোকারো এবং একজন ওই পালামৌয়ের বাসিন্দা। বাকি মৃত শ্রমিকদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায়। দুর্ঘটনার একদিন পর যোগী সরকার তিনটি ট্রাকে করে মৃতদেহের সঙ্গেই জখমদের তুলে দিয়ে ঝাড়খণ্ড এবং বাংলায় পাঠিয়ে দেয়। যে ঘটনার ছবি সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে তীব্র ক্ষোভে ফুটে ওঠেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি এই অমানবিক আচরণ বোধহয় এড়ানো যেত। আমি উত্তর প্রদেশ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারজিকে অনুরোধ করছি, মৃতদেহগুলিতে ঝাড়খণ্ড সীমানা পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য নির্দিষ্ট পরিবহনের ব্যবস্থা করতে এবং আমরা বোকারোয় তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত সসম্মানে তা পৌঁছে দেব।’
হেমন্তের ক্ষোভপ্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসে যোগী সরকার। প্রয়াগরাজের কাছে তিনটি ট্রাকই থামিয়ে দেহগুলি অ্যাম্বুল্যান্সে তোলে পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের শরিক দল কংগ্রেস এটাকে অপরাধজনক কাজ বলে আখ্যা দিয়ে যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেছে।