আম্পানের জন্য তৈরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি
আম্পানের প্রভাবে কলকাতা ও তার সন্নিহিত এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবায় যাতে কোনও রকম বিঘ্ন না-ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সিইএসসি। করোনা-লকডাউনের মধ্যেই পাঁচ হাজারের মতো কর্মী বণ্টন পরিষেবায় কাজ করছেন। সাইক্লোনের জন্য আরও অতিরিক্ত ১,০০০ কর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে।
স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে ২৪০টি মোবাইল ভ্যান থাকবে, যাতে ঝড়ে তার ছিঁড়ে গেলে বা অন্য কোনও ফল্ট হলে দ্রুততার সঙ্গে সারানো সম্ভব হয়। সমস্ত হাসপাতাল ও ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অবিচ্ছিন্ন রাখতে বিকল্প লাইন রাখার পাশাপাশি সংস্থার তরফে খোলা হচ্ছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের যেহেতু সমস্ত সরবরাহ লাইনই ওভারহেড, তাই আগে থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও উপায় নেই। তবে ঝড়-বৃষ্টিতে ফল্ট হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হলে দ্রুত স্বাভাবিক পরিষেবা ফিরিয়ে আনতে বেশি সংখ্যায় ফল্ট রিপেয়ারিং টিম মোতায়েন করছে বণ্টন সংস্থা।
তবে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হলে কেব্ল টিভি ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যালায়েন্স ব্রডব্যান্ডের মূল লাইন ভূগর্ভস্থ হলেও কাস্টমার এন্ডে তা ওভারহেড। ফলে, প্রবল ঝড়ে তার ছিঁড়ে যেতে পারে। তবে দ্রুত মেরামতির জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বিঘ্নিত হলে অত্যন্ত সমস্যায় পড়বেন অনেকেই। কারণ, করোনা-লকডাউনের জন্য এখন বহু কর্মচারী ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম করছেন, যার মূল ভরসা ব্রডব্যান্ডই।