দুর্যোগে মানুষের পাশে সুন্দরবনের পোড়খাওয়া রাজনীতিকরা
গোসাবার প্রত্যন্ত চুনোখালিতে বাড়ির পাশের ফ্লাড শেল্টারে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই প্রায় ৩০০ গ্রামবাসীকে সরিয়ে এনেছেন জয়ন্ত নস্কর। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে রান্নাবান্না। ৫-৬ দিনের চাল-ডাল-সহ রসদ মজুত সেখানে। গোসাবা বিধানসভা অঞ্চলে রয়েছে ৯টি জনবহুল দ্বীপ। সেখানকার ২০ হাজার বাসিন্দাকে স্কুল, ফ্লাড শেল্টারে সরানোর কাজে মঙ্গলবার দিনভর তদারকি করেছেন এই প্রবীণ বিধায়ক।
জয়ন্তর মতোই দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সমীর জানা, রামশঙ্কর হালদার, সুকুমার মাহাতো বা বঙ্কিম হাজরার মতো প্রবীণ নেতারা আমজনতাকে সুরক্ষিত রাখতে জলে-জঙ্গলে নেমেছেন।
এঁদের কেউ রিলিফ ক্যাম্পে থাকারই পরিকল্পনা করেছেন, কেউ দুর্যোগ কবলিত এলাকায় দ্রুত পৌঁছনোরও পরিকল্পনা করেছেন। জয়ন্ত, কান্তির মতো পোড়খাওয়া রাজনীতিকরা ঝড় জোয়ার নাকি ভাটা, কোন সময়ে উপকূলে পৌঁছবে–এ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
জয়ন্তবাবুর কথায়, ‘যত উচ্চতার ঢেউয়ের কথা শুনছি, তা জোয়ারের সময় হলে বহু বাঁধ ভাঙবে। দ্রুত বাঁধ মেরামতে জেসিবি-সহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রস্তুত রাখছি।’ ৩-৪ দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়ে কুমিরমারি, সাতজেলিয়া, ছোট মোল্লাখালি থেকে গ্রামবাসীদের রিলিফ সেন্টারে সরিয়ে এনেছেন তিনি। মঙ্গলবারের মধ্যেই সন্দেশখালির ৬টি জনবহুল দ্বীপের বাসিন্দাকে ফ্লাড শেল্টারে সরানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তাঁর কথায়, ‘৪০টি সাইক্লোন সেন্টারে অধিকাংশই মঙ্গলবার রাতে চলে এসেছেন।’
বুলবুল পাথরপ্রতিমার জি-প্লটের উপর দিয়ে গিয়েছিল। এ বারও জি-প্লট, কে-প্লটে আশঙ্কা প্রবল। পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গায় বুধবার দিনভর ১০-১২ জন কর্মীকে নিয়ে রিলিফে তদারকি করবেন বিধায়ক সমীর জানা। অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে সরাতে উদ্যোগী সমীরের কথায়, ১৯টি ফ্লাড শেল্টারে লোক এসেছেন। জেনারেটর মিলেছে।’ প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ নস্করও পরিস্থিতি সামলাতে জয়নগরে রয়েছেন।