অনলাইন ফুড ডেলিভারি করবে অ্যামাজন
অ্যামাজন সংসারে এ-টু-জেড এর তালিকায় এ বার সর্বশেষ সংযোজন অ্যামাজন ফুড। দেশে অনলাইন ফুড ডেলিভারি বলতেই জোম্যাটো আর স্যুইগির মতো প্রতিষ্ঠিত নামগুলির যে ছবি গ্রাহকের মনে ফুটে উঠত, সেই কোলাজে নিজেদের নাম ঢোকাতেই মার্কিন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের এই পদক্ষেপ, যেখানে বাছাই করা রেস্তোরাঁ এবং ক্লাউড কিচেন থেকে সরাসরি সুস্বাদু মনপসন্দ মেনু আপনার বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেও য়ার দায়িত্ব নিচ্ছেন অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ।
আপাতত বেঙ্গালুরুর নির্বাচিত কিছু পিনকোড দিয়ে শুরু করে আগামী দিনে আসমুদ্র হিমাচলেই তাঁদের এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, গ্রাহকের স্বাস্থ্যের কথা খেয়াল রেখে ফ্রি ও কন্ট্যাক্টলেস ডেলিভারির পাশাপাশি ‘অত্যন্ত উঁচু মানের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা’ রেস্তোরাঁ-কিচেনকেই এই পরিষেবার আওতায় আনা হচ্ছে। যার উপর নিয়মিত নজরদারি চালাবেন তাঁরা।
করোনার জেরে বাকি সব বাজারে যখন মন্দার ঢেউ, তখন বাজারসমীক্ষা সংস্থা মার্কেট রিসার্চ ফিউচারের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতে আগামী দিনে বিপুল হারে বৃদ্ধি পেতে চলেছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি ব্যবসার বাজার। সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বার্ষিক ১৬ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে আগামী ৩ বছরে ১.৩০ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে যাবে। যার গরিষ্ঠ অংশই জোম্যাটো আর স্যুইগির মতো অধুনা প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপ সংস্থার দখলে।
সেই মৌচাকে ঢিল ছুড়তেই নিজেদের পরিষেবাকে আরও এক কদম বাড়িয়ে নিল জেফ বেজোসের সংস্থা। প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি ভারতে এই অনলাইন ফুড ডেলিভারি ব্যবসায় আসবে অ্যামাজন। কিন্তু পরে তা করোনার দাপটে চলতি বছরের মার্চ মাস অবধি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই দেশ জুড়ে লকডাউন চালু হয়ে যাওয়ায় যা পিছিয়ে যায়। অবশেষে দেশের মধ্যে প্রথম বেঙ্গালুরুতে চালু করা হল এই পরিষেবা