আংশিক রুটে চালু হচ্ছে বিমান পরিষেবা, ভাড়া বেঁধে দিলেন মন্ত্রী
জনজীবন স্বাভাবিক করার পথে আরও এক ধাপ এগোতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা, কিন্তু সেটা এক গুচ্ছ শর্ত সাপেক্ষে৷ প্রায় দু’মাস পর ফের চালু হওয়া বিমান পরিষেবায় প্রাথমিক ভাবে শুধু এক-তৃতীয়াংশ উড়ানকেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে আর সেখানে তিন মাসের জন্য সর্বনিম্ন ও সর্বাধিক দু’টি স্তরের যাত্রীভাড়াই বেঁধে দেবে কেন্দ্র, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী৷
তিনি জানিয়েছেন, বিমানে দু’টি আসনের মধ্যবর্তী আসনটি ফাঁকা রাখলেও সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হয় না, তা ছাড়া আসন ফাঁকা রাখলে যাত্রীদেরই ভাড়া বাবদ বেশি টাকা গুণতে হবে। তাই বিমানে মাঝের আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে না, তা বাদে করোনা মোকাবিলার বাকি নিয়ম মেনে চলা হবে। কিন্তু এই ঘোষণাতে প্রশ্ন উঠছে, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের কথা বলে সরকার নিজে যেখানে বার বার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলছে, সেখানে বিমানের পাশাপাশি আসনে এ ভাবে সফর আদৌ কতটা নিরাপদ?
প্রশ্ন উঠছে ভাড়ার স্তর বিভাজন নিয়েও। কেন্দ্রের নির্দেশিকায় অর্ন্তদেশীয় বিমান ক্ষেত্রগুলির সর্বনিম্ন ও সর্বাধিক ভাড়াকে দূরত্বের নিরিখে সাতটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে৷ এ দিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক বিমানযাত্রীর মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ১৪ বছরের বেশি বয়সিদের আরোগ্য সেতু ‘অ্যাপে’র ব্যবহার বাধ্যতামূলক৷ রেড জোন থেকে আসা যাত্রীরা বিমানে উঠতে পারবেন না৷ কোনও যাত্রীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশন না থাকলে সংশ্লিষ্ট যাত্রী যে কোয়ারান্টিনে ছিলেন না বা রেড জোনের বাসিন্দা নন, তা জানিয়ে একটি মুচলেকা দিতে হবে তাঁকে৷ বিমানের নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত দু’ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে হবে। একটি মাত্র চেক-ইন লাগেজ নেওয়া যাবে।
আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, আশেপাশের জিনিস খুব প্রয়োজন ছাড়া স্পর্শ না করার মতো অভ্যাসগুলি রপ্ত করার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। কিন্তু পাশাপাশি আসনে ঘেঁষাঘেঁষি করে যাওয়ার সময় এগুলি কী ভাবে পালন করা সম্ভব, উঠছে প্রশ্ন। দেশের কোন কোন রুটে বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে, সেই বিষয়ে অবশ্য বৃহস্পতিবার কোনও তথ্য জানাননি মন্ত্রী।