দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাটে নতুন বিধিনিষেধের ভাবনা
পুজো হলেই ছাড়তে হবে মন্দির চত্বর। ইতস্তত ঘোরাফেরা, গল্প, আড্ডা এসব চলবে না—এমনই চিন্তাভাবনা দক্ষিণেশ্বর মন্দির কমিটির। আর কালীঘাট মন্দির কমিটির বক্তব্য, যেখানে জমায়েতের প্রশ্ন, সেখানে প্রতিটি পদক্ষেপে পুলিস-প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এগনো হবে।
লকডাউনের শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে মন্দির। পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়ায় এবার মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়ার সুযোগ হয়নি ভক্তদের। লকডাউন যে দিনই উঠুক, পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এখন থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন মন্দির কমিটি।
সাধারণ দিনে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গড়ে ২৫-৩০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। বিশেষ দিনে সংখ্যাটা লক্ষ ছাপিয়ে যায়। লকডাউন ওঠার পর জনসমাগমের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আনতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, মন্দিরে প্রবেশ ও বেরনোর গেটের সংখ্যা কমানো হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবেশ করতে হবে ভক্তদের। মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক।
মন্দিরে প্রবেশের আগে দুটি ধাপে স্যানিটাইজেশনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কোনও ভক্তের শারীরিক সমস্যা নজরে এলে, তৎক্ষণাৎ মেডিক্যাল চেকআপ করে প্রয়োজনবোধে হাসপাতালে পাঠানো হবে। জানা গিয়েছে, সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরির পথে এগচ্ছে মন্দির কমিটি। আলোচনা চলছে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।
কালীঘাট মন্দিরেও দৈনিক গড়ে ১৫ হাজারের উপরে দর্শনার্থী আসেন। জনসমাগম ৫০ হাজার পর্যন্ত পৌঁছে যায় বিশেষ দিনে। করোনা পরিস্থিতির জেরে সাত-পাঁচ ভেবেই মন্দিরের দরজা জনসাধারণের জন্য খোলা হবে কিছু দিনের মধ্যেই, এমনটাই চিন্তাভাবনা নিচ্ছেন কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, স্বাস্থ্য-সুরক্ষার প্রশ্ন থাকায় অনেক কিছুই চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেই মন্দির খোলা হবে।
লকডাউনের জেরে মন্দিরে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকায়, অনুদানও প্রায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। প্রভাব পড়েছে আর্থিক অবস্থায়। কালীঘাট মন্দিরে পালাদাররা সামলাচ্ছেন দৈনিক খরচ। আর দুই মন্দিরের নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হচ্ছে কর্মচারীদের বেতন সহ অন্যান্য খরচ।