দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

আম্পানের জেরে জলের দরে বিকোচ্ছে আম

May 23, 2020 | < 1 min read

কেউ কেজি প্রতি দর পেলেন দু’টাকা, কেউ আবার এক টাকা বা পঞ্চাশ পয়সা। আম্পানের দাপটে ঝরে পড়া আম এমনই জলের দরে বিক্রি করতে হল কালনার আমচাষিদের। দিন কয়েকের মধ্যেই হিমসাগর পাড়ার কথা ছিল। কিন্তু আম্পানে ঝরে পড়েছে নব্বই শতাংশ আম।

কালনার মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, ‘এবারে আমের আকার ও রং ভালো ছিল। চাষিরাও আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু ঝড়ে আম ঝরে পড়ায় ও সেই আমের দর না মেলায় লাভ থেকে বঞ্চিত হলেন। অনেকে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে চাষ করেন। সেক্ষেত্রে আম চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়লেন।’

জামাই ষষ্ঠী এবং চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হওয়ার আগে খদ্দের জুটবে বলে আশায় ছিলেন নদিয়ার আমচাষি এবং আড়তদাররা। এবার আমের ফলনও বেশ নজর কেড়েছিল। কিন্তু আম্পানের তাণ্ডবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত মাজদিয়া ও সংলগ্ন এলাকার আমচাষিরা। মাজদিয়া, কৃষ্ণগঞ্জ, বগুলা, বানপুর, হরিশ নগর ও সংলগ্ন এলাকায় পর পর আম বাগানের আম ঝরে গিয়েছে।

একদিকে লকডাউনের জেরে মালদার আমবাগানগুলোর সে ভাবে পরিচর্যা করা যায়নি। মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ঝড়ের দাপটে প্রচুর আম ঝরে পড়েছে। এ বছর শুরুতে ধারণা ছিল গোটা জেলার প্রায় সাড়ে ৪ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে। কিন্তু ঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া, তাপপ্রবাহ, কালবৈশাখী সব মিলিয়ে প্রত্যাশা নেমে এসেছিল আড়াই লাখ মেট্রিক টনে। আম্পানে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম ঝরে পড়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#malda, #amphan, #Nadia, #Cyclone Amphan, #mango, #aam

আরো দেখুন