সুন্দরবন জুড়ে শুধু হাহাকার, ত্রাণের জন্য ক্ষোভ
সাইক্লোন থেমেছে ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় আগে। বাদাবনে এখন শুধুই সব হারানো মানুষের কান্না। বৃহস্পতিবার থেকে আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু ক্ষতির বহর দেখে সকলে স্তম্ভিত। কারও বাড়ি ভেঙে পড়েছে, কারও বাড়ির চাল উড়েছে, কারও বাড়ি ভেসে গেছে জলে। ফলে সাধের বাড়ি ছেড়ে ওঁদের ফিরতে হল ত্রাণ শিবিরেই, ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে।
নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জের অমরাবতী গ্রামে হাজারখানেকের বেশি মানুষের বাস। গ্রামে যে ক’টা কাঁচা বাড়ি আছে, তার কোনওটাই আস্ত নেই। কেউ গাছ কাটতে, কেউ ঘরের ছাউনি মেরামতে ব্যস্ত। একই চিত্র পাশের বালিয়াড়া, শিবগঞ্জ, মদনগঞ্জ গ্রামেও। প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ ঝড়ের আগের থেকে এলাকার সাইক্লোন সেন্টার, স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যখন গ্রামে ফিরলেন, তাঁরা তখন নিরাশ্রয়।
বেলা যত গড়িয়েছে শুক্রবার, ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে ততই বেড়েছে ক্ষোভ। শুক্রবার সকাল থেকে ত্রাণ ও ত্রিপল পেতে কয়েকশো বাসিন্দা ভিড় জমিয়েছিলেন নামখানা পঞ্চায়েত অফিসেও। কোনওটাই না-পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গত বাসিন্দারা। পরে বিডিও-র উদ্যোগে প্রত্যেক দুর্গতকে একটি করে ত্রাণের কুপন দেওয়ার পর বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।