কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ক্রমে স্বাভাবিক হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিষেবা

May 25, 2020 | 2 min read

অনেক অবরোধ-বিক্ষোভের পর রবিবার কলকাতার নানা প্রান্তে ভেঙে পড়া গাছগাছালি সরিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক করতে যখন পৌঁছল সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ এবং সিইএসসির দল, তখন সব জায়গাই ভিড়ে ভিড়াক্কার। যে পাড়াতেই তাঁরা কাজ শুরু করছেন, সেখান থেকে ধরে প্রত্যেকেই নিজেদের পাড়ায় নিয়ে যেতে চান সেনা-সিইএসসিকে।

আম্পানের তাণ্ডবের পর ৯৬ ঘণ্টা কেটেছে। শনিবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসের পরেই সেনা নেমেছে শহরে, তৎপর হয়েছে পুরসভা-সিইএসসিও। রবিবার দেখা গেল, শনিবারের চেয়ে পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় ফিরেছে বিদ্যুৎ, তবে পুরোপুরি ছন্দে ফেরেনি কলকাতা। বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতার শ্রীকলোনি, বাঘাযতীন, গরফা, সুলেখা, রামগড়, বাঁশদ্রোণির ঊষা গেটের মত অংশে।

সিইএসসির অবশ্য দাবি, তাদের মোট ৩৩ লক্ষের মতো গ্রাহকের মধ্যে সাড়ে ৩০ লক্ষের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিষেবা স্বাভাবিক করেছে। সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আগামি মঙ্গলবারের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছি। বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশন ও বড় আবাসনগুলিতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা ৬০টি জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। মেরামতি করার দলের সংখ্যাও ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১২০ করেছি।’

কোথায় ফিরেছে স্বাভাবিকত্ব

বনগাঁ, নৈহাটি, হালিশহর, ব্যারাকপুর, তমলুক, এগরা, কাঁথি, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, রানাঘাট, গয়েশপুর, কল্যাণী, বালি, বেলুড়, লিলুয়া, উত্তরপাড়া, কোন্নগর, গ্রামীণ হুগলি এবং চন্দননগরের বেশ কিছু অংশ

যাদবপুর, সেলিমপুর, মুকুন্দপুর, সার্ভে পার্ক, পাটুলি, রিজেন্ট এস্টেট, এনএসসি বোস রোড, বেহালা চৌরাস্তা, জেমস লং সরণি, বেহালা শীলপাড়া, গড়িয়া, বাঁশদ্রোণী, কেষ্টপুর, বাগুইআটি, তেঘরিয়া, সল্টলেক, নিউ টাউন, বারাসত, লেকটাউন, যশোহর রোড, নাগেরবাজার, রাসবিহারী কানেক্টর, বিবি চ্যাটার্জি রোড, লস্করহাট, পাতিপুকুর, বেলগাছিয়া, মানিকতলা মেন রোড, লর্ডস মোড়, হরিপদ দত্ত লেন, বক্তিয়ার শাহ রোড, এয়ারপোর্ট, ডানলপ, পল্লীশ্রী, দমদম পার্ক, নারকেলডাঙা

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#cyclone, #amphan, #Super Cyclone, #Cyclone Amphan, #Amphan Super Cyclone, #electricity, #power supply

আরো দেখুন