আয়লার স্মৃতি উস্কে সুন্দরবন জুড়ে বাঁধের ধ্বংসাবশেষ
একইদিনে কোটাল ও আম্পান, এই দুই দৈত্যের দাপাদাপি সইতে পারেনি সুন্দরবনের আধিকাংশ দুর্বল নদী বাঁধ। ফলে গোটা সুন্দরবন জুড়েই এখন আম্পানের এই বাঁধ-ভাঙা ধ্বংসলীলা চোখে পড়ছে। অনেকে এর সঙ্গে সাড়ে দশ বছর আগেকার আয়লার তুলনা করছেন। কারও দাবি, তার চেয়েও বেশি।
সেচ বিভাগের দেওয়া প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী সব মিলিয়ে দুশোর বেশি জায়গাতে বাঁধ ভেঙেছে। চূড়ান্ত হিসেবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সেচ বিভাগের এক আধিকারিক। তাঁর দাবি, কাকদ্বীপ ডিভিশনেই শুধু ৬৭টির বেশি জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙেছে। এর মধ্যে চারটি জায়গায় কোথাও দেড়, কোথাও দু’কিলোমিটার বাঁধ একেবারে ধুয়ে গিয়েছে।
ভাঙনের তালিকায় রয়েছে পাথরপ্রতিমা ব্লকের ব্রজবল্লভপুর, শ্রীধরপুর, গোপালনগর, রামগঙ্গার ভারাতলা। মথুরাপুরের কঙ্কণদিঘি, মুক্তার ভেড়ি, কুমড়োপাড়া, নন্দকুমার, হরিণটানা বাজার। কুলতলি ব্লকে গোপালগঞ্জের গরাণকাটি, দেউলবাড়ির পুরো অংশ, কৈখালি, মৈপীঠ, গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী, ঠাকুরান নদী, বৈকুণ্ঠপুর কিশোরীমোহনপুর, সামন্তর মাথামানি নদী বাঁধ, সোমবারের বাজার। বাসন্তীর ভরতগড়, বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েত, নফরগঞ্জ, ঝড়খালি সহ একাধিক জায়গা।