আম্পানে সবুজের ক্ষতি, দূষণ বাড়বে কলকাতায়
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে যে ব্যাপক সংখ্যায় গাছ পড়েছে, তাতে লকডাউনের পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলে কলকাতার দূষণ বেড়ে যাবে। পরিবেশবিদরা বলছেন, স্বাভাবিক অবস্থায় শহরে প্রায় আট লাখ যানবাহন চলাচল করে। তার ফলে যে পরিমাণ কার্বন নির্গত হয়, তার অনেকটাই শুষে নিত শহরের সবুজ। সেই সবুজের সিংহভাগ ধ্বংস হওয়ায় দূষণ সৃষ্টিকারী বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা প্রায় ২.৫ গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পরিবেশ, বন এবং পুর দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা।
সবুজ ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আম্পানের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনায় প্রায় তিন কোটি গাছ লাগানোর একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর বাস্তবায়নে একটি মাস্টার প্ল্যানও তৈরি করছে বন দপ্তর। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পিত সবুজ শ্রী প্রকল্পের আওতায় দেড় কোটি গাছের চারা বিলি বণ্টনের প্রক্রিয়া তো চলবেই।
পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড়ে কলকাতা, বিধাননগর সহ লাগোয়া পুর এলাকার জন্য আসন্ন বর্ষায় সবুজায়ন কীভাবে করা হবে, তা ঠিক করতে আগামী সপ্তাহে কলকাতা পুরসভা, কেএমডিএ এবং পুর ও পরিবেশ দপ্তরের সঙ্গে এক সমন্বয় বৈঠক করবে বন দপ্তর। আম্পানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনের পরিবেশের উপর কী প্রভাব ফেলছে, তা জানতেও সমীক্ষা করবে পরিবেশ দপ্তর।
সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে অনেকটাই সবুজহীন হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ। বিরাট প্রভাব পড়েছে পরিবেশে। সেই পরিবেশকে বাঁচানোর লক্ষ্যেই একটি ভেঙে পড়া গাছের পরিবর্তে ১০টি চারা রোপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।