ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে হাওড়া
ঘূর্ণিঝড় আম্পান আছড়ে পড়ার পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর, পুরনিগম, পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের দিনরাতের পরিশ্রমে ক্রমে স্বাভাবিক হওয়ার পথে হাওড়া শহর। তবে শহরের অনেক এলাকাতেই এখনও আলো আসেনি। বেশ কিছু নিচু এলাকায় জল জমে রয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টিতে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন মঙ্গলাহাটের কাপড় ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহে একদিন, মঙ্গলবারই হাট বসে এখানে। বাকি দিনগুলি দোকান বন্ধ থাকে। আর এখন লকডাউনের জন্য টানা বন্ধ দোকান। আম্পানের তাণ্ডবে সেই সব দোকানের দোকানের অধিকাংশের ভেতরে জল ঢুকে গিয়ে সমস্ত জামাকাপড় ভিজে গিয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে হাওড়া পুরনিগম, সিটি পুলিশ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের লোকজন জায়গায় জায়গায় গাছ কাটতে নেমে পড়েন। অধিকাংশ বড় রাস্তা থেকে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরু গলিতে এখনও যে সব ভাঙা গাছ পড়ে তা সরানোর কাজ চলছে। হাওড়া শহরে জল মোটের উপর নেমে গিয়েছে। কেবল উত্তর হাওড়ার সালকিয়া, বামুনগাছি, বেলগাছিয়ার মতো কয়েকটি নিচু এলাকায় এখনও জল দাঁড়িয়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই জল নামানোর কাজ করছে নিগম। পানীয় জলের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেয়েছে হাওড়া শহর।
তবে এখনও বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই বচসায় জড়িয়েছেন ক্ষুব্ধ মানুষজন।