লকডাউনের সঙ্গে আম্পান, নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই পুলিসের
একদিকে আম্পান, অন্যদিকে লকডাউন— এই দুইয়ের জেরে নাজেহাল অবস্থা রাজ্য পুলিসের। দুটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কোনওটিকে হাল্কাভাবে নিতে পারছে না তারা। সেই কারণে টিম ভাগ করে দুই দিক সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর জেরে নাওয়া-খাওয়ার সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ পুলিসকর্মীর। তবে কাজের ক্ষেত্রে যে কিছুটা খামতি থাকছে, তা মানছেন কর্তারা।
লকডাউনের শুরু থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে আসছেন সমস্ত পুলিসকর্মীরা। সাধারণ মানুষ যাতে ঘরের বাইরে না বের হন সেজন্য প্রচারের পাশাপাশি চলছে টহলদারি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন শুরুর মাঝে এসে পড়ে আম্পান। ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড অবস্থা গোটা রাজ্যের।
এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার বা পড়ে থাকা গাছ কাটার জন্য জেলার অনেক জায়গাতে পুলিসকেই এগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। বিপর্যয় মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ববিধির সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপস করতে হচ্ছে তাদের। এর সঙ্গেই এলাকায় এলাকায় লকডাউন বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে নজরদারিও চালাতে হচ্ছে।
তবে পর্যাপ্ত সংখ্যায় ফোর্স না থাকার ফলে দুটি কাজ সমান তালে চালানোর ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সে কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা থেকে বাড়তি ফোর্স চেয়ে আবেদন আসছে শীর্ষকর্তাদের কাছে। আর সেই বাড়তি ফোর্স না আসা পর্যন্ত হাতে থাকা পুলিসকর্মীদের একটা বড় অংশকে মোতায়েন করা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে। পাঁচ থেকে সাতজন পুলিসকর্মীকে কাজে লাগানো হচ্ছে লকডাউন বিধি কার্যকর করার জন্য।