পরিযায়ী, আম্পানের ধাক্কায় কোভিড ঝড়ের ভয়
সংক্রমণের স্বাভাবিক নিয়মেই করোনা বাড়ছে দুনিয়াজুড়ে। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু প্রথমে পরিযায়ী শ্রমিক ও তার ঠিক পরেই আম্পানের জেরে সেই বৃদ্ধি অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে দেখা যাবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায়, এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। শুধু তাই নয়, দ্রুততার সে হার অন্য অনেক রাজ্যকে পিছনে ফেলে দেবে বলেও আশঙ্কা।
অবশ্য সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছুটিও পেয়েছেন ৭৫ জন। এর মধ্যে শুধু মেডিক্যাল থেকেই সোমবার ৬০ জন ছুটি পেয়েছেন। বিকেল পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ৪৩ জন বাড়িও ফিরে গিয়েছেন। পাশাপাশি, রাজ্যে ১৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়, মারা গিয়েছেন ছ’ জন।
মাসখানেক আগেও ২৩টি জেলার মধ্যে আটটি জেলা ছিল কোভিড-মুক্ত। দু’ সপ্তাহ আগেও করোনা সংক্রমণ ছড়ায়নি অন্তত পাঁচটি জেলায়। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে থেকে লক্ষাধিক পরিযায়ী বাংলায় ফেরার পর থেকেই ছবিটা দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। সোমবার দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে করোনা-মুক্ত ‘গ্রিন’ জেলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোটে তিন— আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও পুরুলিয়া।
এর মধ্যে উম্পুনও ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। একদিকে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় হাজারেরও বেশি সাইক্লোন সেন্টারে গাদাগাদি করে মানুষকে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে কলকাতা ও হাওড়া-সহ শহুরে এলাকার মানুষের মন থেকে লকডাউন ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের ধারণা আম্পান সাময়িক ভাবে মুছে দিয়েছে। এই জোড়া কারণই এখন স্বাস্থ্য দপ্তরের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা।