করোনা পরবর্তী সময়ে গুরুত্ব বাড়বে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের
করোনাভাইরাস পাল্টে দিয়েছে সারা বিশ্বের চেনা ছবি। তার পরবর্তী যুগে মানুষের জীবনেও নানা পরিবর্তন আসতে চলেছে চিরকালের জন্য। আর এই বদল আনতে সাহায্য করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
এ রকম মত শোনা গেল বেনেট অ্যন্ড কোলম্যান গোষ্ঠীর বেনেট ইউনিভার্সিটি আয়োজিত বিশ্বব্যাপী ওয়েবিনারে, যেখানে বক্তব্য রাখলেন বিজ্ঞানী এবং উদ্যোগপতিরা। ওয়েবিনারের বিষয় ছিল, ‘কোভিডের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ’। সবাই নিজের নিজের বাড়ি থেকে যোগ দিয়েছিলেন এই বিশেষ ওয়েবিনারে।
আইবিএম ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার সন্দীপ প্যাটেলের কথায়, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেন এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারের মতো। নানা ভাবে কোভিড-বিষয়ে তথ্য জানা যাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে। এমনকী খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও সাহায্য করছে।’
গুগল রিসার্চ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর মণীশ গুপ্তের কথায়, ‘করোনা নিয়ে সরকারি তথ্য আগে তুলে ধরা, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাবার ও থাকার জায়গার সন্ধান দিচ্ছে এআই।’
এডএক্স সংস্থার সিইও অনন্ত আগরওয়াল তুলে ধরেন কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে শিক্ষার প্রসঙ্গ। তাঁর মন্তব্য, ‘সারা বিশ্বে আমাদের যে শিক্ষার্থী আছে, তার সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে ভারত। আমরা দেখেছি গত কয়েকমাসে আমাদের বিভিন্ন বিষয় শেখার জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বিশাল ভাবে। যেমন, কম্পিউটার সায়েন্স, যার পাঠ্যক্রমে মেশিন লার্নিং ও এআই আছে, তার ছাত্রসংখ্যা বেড়েছে ৮০ শতাংশ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ বাড়ছে সব ক্ষেত্রে। তাই তা শেখার আগ্রহও বাড়ছে সমান ভাবে।’
ভারতে মাইক্রোসফট সংস্থা ন্যাশনাল টেকনোলজি অফিসার রোহিণী শ্রীবৎসের কথায়, ‘এই পরিস্থিতিতে আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে টেকনোলজি। আমাদের পার্টনার ও পণ্যের বিক্রেতাদের আমরা সব সময় প্রযুক্তি ও যথাযথ পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে তাঁরা সতর্ক থাকতে পারেন এবং যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁরা সেটা চালিয়ে যেতে পারেন। আমরা আমাদের সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এআই-এর সাহায্যই নিচ্ছি।’
ডিজিশিল্ড সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সঙ্কেত বরালয় জানান, তাঁদের সংস্থা কী ভাবে হাতে লেখা প্রেসক্রিপশনকে ডিজিটাল মাধ্যমে আনতে সাহায্য করছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সযুক্ত টেলি স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োগে রোগী ও ডাক্তারদের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ করে তুলছে। সঙ্কেতের মন্তব্য, ‘আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, তৃণমূলস্তর থেকে যথেষ্ট সঠিক তথ্য যেন আমাদের হাতে থাকে। তবে আমাদের কোনও সমাধান পেতে সুবিধা হবে।’