ভাঙা বাঁধে ভরা কোটালের ভয় সুন্দরবনে
আম্পানের তাণ্ডবে প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার মাটির নদীবাঁধ। উত্তাল জলের ধাক্কায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। কোথাও আবার নদী বাঁধের এমন ফাটল দেখা দিয়েছে যে, আগামী ৩ জুন পূর্ণিমার কোটালে তা ভাঙার প্রবল সম্ভাবনা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপে ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা বৈঠকে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ১০০ দিনের প্রকল্পের শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল বাঁধ মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সুন্দরবনের মোট ১৪০ কিলোমিটার নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানভাসী এলাকায় দিনভর অক্লান্ত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারেরা।
কিন্তু অবস্থানগত অসুবিধার কারণে পাথরপ্রতিমা, গোসাবা ও কুলতলির অনেক জায়গাতেই এখনও পর্যন্ত নদীবাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফলে নদীতে জলের জোয়ার এলেই জল ঢুকছে গ্রামে।
আগামী ৩ জুন মাসের পূর্ণিমার কোটাল। সেই সঙ্গে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি ও ঝড়ের প্রভাবে ফের আশঙ্কা মেঘ দেখা দিয়েছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে ভাঙা ও দুর্বল নদীবাঁধগুলি মেরামতে। একশো দিনের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে ভিনরাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে ফিরে আসা শ্রমিকদেরও কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।