খাবার ও জলের অভাবে গবাদি পশুর মড়কের দুশ্চিন্তা
আম্পানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবার ও জলের অভাবে গবাদি পশুর মড়ক দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কায় বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে প্রশাসন। নবান্ন সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে গবাদি পশুদের জন্য বিশেষ ব্যালান্সড ডায়েট দেওয়া হচ্ছে।
ভুট্টার গুঁড়ো, খোল ও ভিটামিন মিশ্রিত এই খাবার অল্প পরিমাণে খেলেও গবাদি পশুরা বেঁচে থাকতে পারবে, এমনটাই মত প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিশেষজ্ঞদের। তা ছাড়া, যেখানে সম্ভব হচ্ছে, শুকনো খড় পাঠানো হচ্ছে গোরুর খাবারের জন্য। চিকিৎসা শিবির থেকে বিনা পয়সায় পশুদের জন্য ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। মহামারী ঠেকাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনও মজুত করতে বলা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রাজ্যে, বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বহু এলাকায় গবাদি পশুদের খাদ্যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে তাদের একটা বড় অংশ অভুক্ত থাকছে। অনেক জায়গায় পুকুর, ডোবায় নোনা জল ঢুকে পড়েছে। তেষ্টার জ্বালায় গবাদি পশুরা সেই জলই খাচ্ছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এর ফলে গবাদি পশুরা শীঘ্রই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
রাজ্য ভেটেরিনারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহর সরকার বলেন, ‘গোরু, ছাগলরা নোনা জল খেতে অভ্যস্ত নয়। তবে মিষ্টি জল না-পেলে তারা নোনা জলই খেতে বাধ্য হবে। এতে ডায়েরিয়া-সহ বিভিন্ন রোগে তারা আক্রান্ত হতে পারে। অনেক জায়গায় গবাদি পশুরা খাবার পাচ্ছে না। এ সব থেকে বিপদের যথেষ্ট কারণ আছে।’ তাঁর আশঙ্কা, ‘এখন মানুষ ও গোরু-বাছুর কাছাকাছি থাকছে। ফলে, পশুদের থেকেও মানুষের মধ্যে রোগ সংক্রামিত হতে পারে।’
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু এলাকার পুকুরে ও জলাশয়ে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে গিয়েছে। এর ফলে মাছ চাষের ভয়াবহ ক্ষতি হবে। গবাদি পশুরাও খাওয়ার জল পাচ্ছে না। এটা আমাদের কাছে খুব চিন্তার বিষয়।’