সম্ভবত অক্টোবরেই আইপিএল
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে এ বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। অপেক্ষা শুধু সরকারি ঘোষণার। ২৮ মে হবে আইসিসি’র বোর্ড মিটিং। তার পরেই হয়তো বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়ে দেবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত রাখা হচ্ছে।
সিইও মনু সোহানির নেতৃত্বে সোমবার আইসিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছে টেলিকনফারেন্সে। যেখানে হাজির ছিলেন, আর্থিক ও বাণিজ্যিক কমিটির সদস্যরা। করোনার জেরে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা যে সম্ভব নয়, সেটা বৈঠকে সকলেই মেনে নিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফের কবে হবে?
বৈঠকে অনেকে প্রস্তাব দেন, পরের বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এই টুর্নামেন্টে করা হোক। কিন্তু সমস্যা হল আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে আবার ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। তাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি প্রশ্ন তোলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে কি করে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্ভব? চ্যাম্পিয়ন দলের খেতাব তাহলে তো ৪-৫ মাসের বেশি স্থায়ী হবে না।
তখন আইসিসি কর্তারা অনেকে প্রস্তাব দেন, আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করুক অস্ট্রেলিয়া। আর ২০২২ সালে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করুক ভারত। কিন্তু ঘটনা হলো, এই মুহূর্তে আইসিসির আর্থিক ও বাণিজ্যিক কমিটিতে ভারতীয় বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি নেই। তাই বিসিসিআইয়ের মতামত ছাড়া, ক্রীড়াসূচি পরিবর্তন করা আইসিসির পক্ষে কঠিন। তাই পুরো ব্যাপারটি আপাতত ঝুলে রয়েছে।
সম্ভবত বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধির মতামত নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যেতে পারে বলে আমিও শুনেছি। এ ব্যাপারে ভারতীয় বোর্ডের কিছু করার নেই। আইসিসিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’