ভারতীয়দের মধ্যে অনলাইনে পড়াশোনার চাহিদা বাড়ছে
মারণ ভাইরাস করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউনে বিপুল পরিবর্তন এসেছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। হাতে অনেকটা ফাঁকা সময় পেয়ে অনেকে মহামারী, সায়েন্স অফ ওয়েল বিইং, কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ, ডেটা সায়েন্স ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। যার জেরে শিক্ষা-প্রযুক্তি কোম্পানিগুলিতে ভর্তির সংখ্যা অনেক গুন বেড়ে গেছে। বিশেষ করে যারা দ্বাদশ শ্রেণী পাশের পর ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দেয়, সেখানে ভর্তির হার ৫০ থেকে ১৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
ডেটা সায়েন্স, পাইথন বেসিকস, মেশিন লার্নিংয়ের মতো কোর্সের চাহিদা যেখানে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি, সেখানে গত তিন মাসে কমিউনিকেশন স্কিল, টেকনিক্যাল ড্রয়িং, মেডিটেশন ও সঙ্গীত-কলা বিভাগে ভর্তির চাহিদা অনেক গুন বেড়েছে। শিক্ষা প্রদানকারী সংস্থাগুলির মতে, লকডাউনে আর্থিক অসঙ্গতির কথা মাথায় রেখে বেশি উপার্জনের লক্ষ্যেই দেশবাসী নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে চাইছেন।
শিক্ষা-প্রযুক্তি সংস্থা ‘এড-এক্স’ এমন একটি কোর্স চালু করেছে যেখানে শিক্ষকরা তাঁদের শিক্ষা বা উপদেশ কোন একজনকে না দিয়ে অনলাইনে সার্বিকভাবে দিতে পারবেন। ইউদেমি ইন্ডিয়া শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেছেন, প্রতি বছর এই কোর্সগুলির চাহিদা ১২৫ শতাংশ করে বাড়ছে। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘সায়েন্স ম্যাটারস: লেটস টক অ্যাবাউট কোভিড-১৯’ নামে একটি কোর্স চালু করেছে। সেই কোর্সে ইতিমধ্যে ৬৮ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া আবেদন করেছেন। এটি এবছরের সবথেকে জনপ্রিয় কোর্সে পরিণত হয়েছে।
কোর্সেরা ইন্ডিয়া শাখার এমডি রাঘব গুপ্ত বলেছেন, ‘ভারতে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোর্সে ভর্তি বিপুল হারে বেড়েছে।’ ভারতে যে দশটি কোর্স গত কয়েক মাসে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, সায়েন্স অব ওয়েল বিইং, সায়েন্স ম্যাটারস: লেটস টক অ্যাবাউট কোভিড-১৯। এছাড়াও লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আইআইটি গুয়াহাটিতে করোনা ভাইরাস নিয়ে কোর্স চালু হয়েছে।