বাংলা সিনেমায় যৌনতার ছড়াছড়ি – দেখে নিন তালিকা
সময়ের সাথে সাথে ক্রমবিবর্তন হয়েছে বাংলা সিনেমার। আগের থেকে অনেক সাহসী ও সাবলীল, বাংলা ছবিতে যৌন দৃশ্যের ক্ষেত্রে এখন আর কোনও রাখঢাক নেই। শয্যা দৃশ্য হোক বা চুম্বন, অন্তরঙ্গ দৃশ্য হোক বা নগ্নতা, আজকালকার অভিনেতারা সবকিছুই সাবলীল ভাবে নেন।
দেখে নেওয়া যাক এরকমই কিছু সিনেমার তালিকা:
গান্ডু
২০১০ সালে কিউ-এর পরিচালনায় ছবিটি মুক্তি পায়। ছবিটি সাদা-কালো। অভিনয় করেছেন ঋ ও অনুব্রত। যৌনতা, নগ্নতা কি নেই এই ছবিতে। এই ছবি নিয়ে রয়েছে বিস্তর বিতর্ক। ভারতে ব্যান করা হয়েছিল এই ছবি।
কসমিক সেক্স
২০১৪ সালে এই ছবিটি মুক্তি পায়। নামেই বোঝা যায় ছবির বিষয়বস্তু। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋ। ছবিটির পরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তী। যৌনতার মাধ্যমে নিজের অন্তরসত্ত্বাকে আবিষ্কার করার বার্তা দেয় এই ছবি।
ছত্রাক
২০১১ সালের সিনেমা ছত্রাক। এই ছবিটি বাংলার পাশাপাশি ইংরাজিতেও ডাবিং হয়। এই ছবিতে পাওলি দামের একটি যৌন দৃশ্য ফাঁস হয়ে যায় এবং বিতর্কের মুখোমুখি পড়তে হয় পাওলিকে। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নমিনেটেড হয় সিনেমাটি।
তাসের দেশ
কিউ পরিচালিত ছবি। অভিনয় করেছেন ঋ, অনুব্রত, সায়ণী গুপ্ত প্রমুখ। রবীন্দ্রনাথের অতি পরিচিত গীতিনাট্যের অভূতপূর্ব রূপান্তর। এই ছবিতে উঠে এসেছে নারী স্বাধীনতা, প্রান্তিক যৌনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা। বিপ্লবের বাণীতে মুখরিত হয়েছে এই নতুন ‘তাসের দেশ’।
চোখের বালি
রবি ঠাকুরের কাহিনী অবলম্বনে ঋতুপর্ণ ঘোষের এই ছবিতে চরিত্রের চাহিদায় ঢেলে দেখানো হয়েছে যৌনতা এবং চুম্বনের দৃশ্য। অভিনয় করেছেন ঐশ্বর্য রাই, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, টোটা রায় চৌধুরী, রাইমা সেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলায়, অল্প বয়সে বিধবা হওয়া মেয়েদেরও যে যৌন ইচ্ছা থাকতে পারে, সেটাই ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। ঋতুস্রাবের একটি দৃশ্য সাড়া ফেলে দিয়েছিল সেই সময়।
রাজকাহিনী
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এই ছবির মূল প্লট দেশভাগের ফলে প্রভাবিত এক পতিতা পল্লী। ফলে এই ছবিতে যে যৌনতা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জয়া আহসান, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ছবির শুরুতেই মান্টোর একটি গল্পের দৃশ্যের ভয়াবহতা কিংবা এক নবাবের হাতে কুমারী মেয়ের ধর্ষণের দৃশ্যে শিউরে উঠবেন দর্শক।
টেক ওয়ান
মৈনাক ভৌমিকের ছবি ‘টেক ওয়ান’-এ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সম্পূর্ণ নগ্ন হয়েছেন। তাও আবার শরীরের সামনের অংশ তিনি নির্দ্বিধায় উন্মোচন করেছেন ক্যামেরার সামনে। অবশ্য এই শুটিং যখন হয়েছে তখন পরিচালক ও অভিনেত্রী ছাড়া ছিলেন ক্যামেরাম্যান ও চারজন টেকনিশিয়ান।
চিত্রাঙ্গদা
ঋতুপর্ণ ঘোষের এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে প্রান্তিক লিঙ্গের কথা। সাথেই তুলে ধরা হয়েছে তাদের প্রেমের কিছু মুহূর্ত। ফলে অনেক দৃশ্যেই ধরা পড়েছে যৌনতা। অভিনয় করেছেন স্বয়ং ঋতুপর্ণ এবং যীশু সেনগুপ্ত।
অন্তরমহল
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পের এক অন্য বিশ্লেষণ করেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ এই ছবিতে। ছবির মূল প্রেক্ষাপট যেখানে এক জমিদারের পুত্রমানসা, সেখানে সোহাগের দৃশ্য তো থাকবেই। এছাড়াও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহসী দৃশ্যগুলি নিয়েও সেই সময় জলঘোলা হয়েছিল। মা দুর্গার প্রতিমা গড়তে গিয়ে মৃৎশিল্পীর নিজের স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের কথা মনে পড়ার দৃশ্য নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল।