লকডাউনেও রাজ্যে ৬ লক্ষের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এল কন্যাশ্রীর টাকা
করোনা ও আম্পানের দাপটে বিধ্বস্ত বাংলায় বহু পরিবারকে ভরসা জোগাচ্ছে কন্যাশ্রীর টাকা। লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনীতির মধ্যেও ৬ লক্ষের বেশি কন্যাশ্রীর অ্যাকাউন্টে এল রাজ্য সরকারের দেওয়া এক হাজার টাকা। কন্যাশ্রীর কে-২ প্রকল্পেও দু’হাজারের বেশি ছাত্রী ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। করোনা মহামারীর থাবায় বহু পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদের অনেকের মুখে অন্ন জোগাতে সাহায্য করছে এই কন্যাশ্রীর টাকাই।
মার্চের শেষ থেকে করোনা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। কিন্তু রাজ্য সরকার সচেষ্ট ছিল যাতে সময় মতো যতটা সম্ভব কন্যাশ্রীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই মতো সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে স্কুলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় যাতে নতুন করে কন্যাশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা না গেলেও রিনুয়্যাল করে টাকা দেওয়া যায়। সেই মতো জেলাগুলি বিপর্যয়ের সময়েও যথেষ্ট ভালো কাজ করছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কন্যাশ্রী কে-১ প্রকল্পে রিনুয়্যাল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭হাজার ১৩৪। ২২ মের মধ্যে তারা ৪০হাজার ১৩৮ জন ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। একইভাবে ২২মে পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার ২৮হাজার ২১৭, বাঁকুড়া ৩হাজার ৫৪৪, পূর্ব বর্ধমান ৫হাজার ৫৯৯, বীরভূম ২৪ হাজার ৯৪৯, কোচবিহার ২৬হাজার ৩৮৩, দক্ষিণ দিনাজপুর ২৭হাজার ৬০০, দার্জিলিং ৩হাজার ৫১৪, হুগলি ৫৯ হাজার ৬৮২, হাওড়া ১হাজার ৫১০, জলপাইগুড়ি ২৪হাজার ১৫০, ঝাড়গ্রাম ৪হাজার ২৩০, কালিম্পং ৫হাজার ১৩৩, মালদহ ১৯হাজার ৪৮৭, মুর্শিদাবাদ ১০হাজার, নদীয়া ৫৯হাজার ২৬৯, উত্তর ২৪ পরগনা ৫৯হাজার ৬২৮, পশ্চিম মেদিনীপুর ৬০হাজার ৩৮০, পূর্ব মেদিনীপুর ২৫হাজার ৩৬৪, পুরুলিয়া ২০হাজার ৬৫৩, শিলিগুড়ি ৫হাজার ৮৫৯, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৪০হাজার ৪৩০, উত্তর দিনাজপুর ৫৬হাজার ২৮১ কন্যাশ্রীর আবেদন অনুমোদন করিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
তবে শুধু কে-১ ক্ষেত্রেই নয়, ১৮বছর পরেও কোনও মেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে তিনি কন্যাশ্রীর কে-২ প্রকল্পে এককালীন ২৫ হাজার টাকা পান। এই অবস্থায় সেক্ষেত্রেও ২হাজার ৩৭জন টাকা পেয়েছেন রাজ্যে। এক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এগিয়ে রয়েছে।