করোনার সময়ে কতটা নিরাপদ যৌনমিলন?
করোনার দাপটে লাগাম টানতে দেশবিদেশে চলছে লকডাউন। আর এই পড়ে পাওয়া ১৪ আনা সময়কে কাজে লাগিয়ে পুরনো সম্পর্কে উজ্জীবিত করছেন দম্পতিরা। একে অপরের সঙ্গে বেশ সময় কাটাচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত শারীরিক মিলন করছেন তাঁরা। কিন্তু সেই মিলন কতটা নিরাপদ? যৌনতা থেকে করোনা ছড়াতে পারে কি? বহুদিন ধরেই এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি একদল গবেষক দাবী করেছিলেন, যৌনতা থেকে করোনার জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। কিন্তু তাঁদের সেই দাবী নস্যাৎ করলে একদল চিনা গবেষক। তাঁদের কথা, করোনা আক্রান্ত পুরুষের বীর্যতেও কোভিড ১৯ জীবাণুর হদিশ মিলছে। তা সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও বেশকিছু দিন স্থায়ী হচ্ছে। ফলে করোনা সংক্রমণ থেকে যৌনতাও কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সম্প্রতি জামা নেটওয়ার্ক ওপেনে সাংকিউ মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালের একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৮ জন পুরুষের মধ্যে ছয়জনের বীর্যে করোনার জীবাণুর হদিশ মিলেছে। ওই ছয়জনের মধ্যে চারজন গুরুতর অসুস্থ। বাকিদুজন সুস্থ হয়ে উঠছেন।
তবে বীর্যে কতদিন এই জীবাণু থাকতে পারে, তা নিয়ে কোনও দিশা দেখায়নি চিকিৎসকরা। এমনকি, শারীরিক মিলনের সময় তার থেকে সঙ্গী করোনা আক্রান্ত হতে পারেন কিনা, সে সম্পর্কেও তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তবে এই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জন হটালিং জানান, এ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা প্রয়োজন।
সাধারণভাবে মনে করা হয়, আক্রান্তের থুতু, কফ, সর্দি থেকে এই মারণ ভাইরাসের অন্যের দেহে বাসা বাঁধতে পারে। নতুন গবেষণা অবশ্য বলছে, অনেক সময় চোখের জল, রক্ত-সহ আরও ১৯ রকম দেহতরল থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
তবে একই গোত্রের জিকা, ইবোলা ভাইরাস যৌন মিলন থেকে ছড়াতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। তাই আমেরিকার স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসক ড. পিটার সেচগেল বলেন, “আক্রান্ত পুরুষরা সেরে ওঠার ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যৌন মিলন না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।”