রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রেলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি মমতার

May 27, 2020 | 2 min read

পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠানো নিয়ে রেলের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলেই মহারাষ্ট্র থেকে পরপর ট্রেন পাঠানো হচ্ছে বলে বুধবার সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “পরিযায়ী শ্রমিকরা আসার পর রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই রাজ্য চেয়েছিল বিশেষ পরিকল্পনা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের আনতে। কিন্তু রেল রাজ্যের কথা শুনল না।”

পরিস্থিতির সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সংক্রমণ রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। জেলায়-জেলায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, চেন্নাই থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরলে তাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য স্কুলগুলি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বুধবার নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “স্রেফ ভুল পরিকল্পনা ও ভ্রান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য সারা দেশে করোনা ছড়াচ্ছে। রেল রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলে পরিযায়ী শ্রমিকদের ইচ্ছামতো পাঠানো হচ্ছে”।

জেলায়-জেলায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

এ বিষয়ে তিনি মহারাষ্ট্রের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, “সেখান থেকে একসঙ্গে ৪০টি ট্রেন পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনাই করা হয়নি।আমি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে কথা এ নিয়ে কথা বলেছি। তিনিও জানান এ নিয়ে কেন্দ্র সরকার তাঁদের সঙ্গে কথাই বলেনি।”

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, চেন্নাই থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে। পরিবার থেকে তাঁদের খাবার দিতে পারে। আর যাদের সেই পরিস্থিতি নেই, তাঁদের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীরা রান্না করে দেবে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শ্রমিকদের ডাল, ভাত খাওয়াব। রাজ্যের হাতে মাছ, মাংস খাওয়ানোর মতো তো টাকা নেই। যেদিন হবে সেদিন আবার খাওয়াবো।” ১৪ দিন তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারপর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের সামাল দিতে বুধবার রাতের মধ্য জেলায় জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।কারা কারা থাকবেন, তাও তিনি নির্দিষ্ট করে দেন। এই টাস্ক ফোর্স কে কোন রাজ্য থেকে ফিরছেন তার দিকে নজর রাখবেন। তারপর সেই অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করবেন। নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ, “আমাকে রাজনৈতিকভাবে সমস্যা ফেলতে গিয়ে বাংলার সর্বনাশ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Mamata Banerjee, #Coronavirus, #Corona Virus, #Indian Railways, #CoronaAlert, #Corona pandemic, #Migrant Labourers

আরো দেখুন