আম্পানের দাপট কাটিয়ে উঠে ছন্দে ফিরছে হাসপাতাল
গত বুধবার, ২০ মে-র আম্পানের ছোবলে শহরের বহু হাসপাতাল চত্বরেই কোথাও ভেঙে পড়েছিল গাছ, কোথাও ঝড়ের দাপটে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল জানলার কাচ। কয়েকটি হাসপাতালে এখনও ফেরেনি মোবাইল নেটওয়ার্ক।
তবু এই পরিস্থিতিতে রোগী পরিষেবা ভেঙে পড়তে দেয়নি শহরের হাসপাতালগুলো। কোথাও ভর্তির কাগজ হাতেই লিখে, কোথাও ঝুঁকি নিয়ে জটিল অস্ত্রোপচার সেরে মুমূর্ষুদের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন শহরের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক-চিকিৎসাকর্মীরা।
আম্পান আছড়ে পড়ার আগে ফুসফুসের জটিল সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগীর ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হবে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত সপ্তাহের শেষ দিকে মৃদু হার্টরেট নিয়ে আরজি করে ভর্তি হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। জরুরি অস্ত্রোপচার করে তাঁর পেসমেকার বসানো হয়েছে।
রেনাল ফেলিওরের এক রোগীর পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিসের ক্যাথিটার ‘ব্লক্ড’ হয়ে গিয়েছিল। রোগীর অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক যে, তাঁকে অজ্ঞানও করা যায়নি। এসএসকেএম হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকরা লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করেই মেরামত করেন সেই ক্যাথিটার।
দিনে গড়ে ২০টি করে অস্ত্রোপচার ও নানাবিধ প্রক্রিয়া চালু করেছে আমরি গোষ্ঠীর তিনটি হাসপাতাল। ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও ফেরেনি এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রোগী ভর্তি থেকে করোনা আক্রান্তদের রিপোর্ট আনানো, সবটাই করতে হচ্ছে সাবেক পদ্ধতিতে।
টেলিফোনের যোগাযোগ প্রায় নেই বললেই চলে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। অথচ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বরূপনগর থেকে এক করোনা-আক্রান্ত রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানেও।