দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

জলমগ্ন সাগরে হাহাকার খাবারের জন্য

May 27, 2020 | < 1 min read

আয়লার পর থেকে সাগরদ্বীপের বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধ মেরামত হলেও ছ’মাস আগে সেগুলি নড়বড়ে করে দিয়েছিল বুলবুল। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি মেরামতের কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু আচমকা আম্পানের তাণ্ডব গোটা দ্বীপটিকেই কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে কপিলমুনির মন্দির।

কচুবেড়িয়া জেটিঘাট থেকে নিস্তব্ধ দ্বীপকে এক পলকে দেখে অবশ্য ছ’দিন আগের বিপর্যয়ের আঁচ মেলা শক্ত। নদীর পাড়ে বামদিকের ইটের রাস্তা ধরে কিছুটা এগোতেই কচুবেড়িয়া গ্রাম। পথে একের পর এক গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, কাঁচাবাড়ি, টিন-অ্যাসবেস্টসের ছাউনি, পানের বরজ ভেঙে পড়ে। নোনাজলে প্লাবিত চাষের জমি ও পুকুর। মাছ, গাছের ডাল ও পাতা পচে দুর্গন্ধে টেকা দায়। চারপাশে এখনও হাঁটু জল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জমা জল সরলেই জলমগ্ন কাঁচা বাড়িগুলি ভেঙে পড়বে। পাশের সাপখালি, শীলপাড়া, শিকারপুর গ্রামেও বিপর্যয়ের একই ছবি।

সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা অবশ্য বলেন, ‘ত্রিপল ও শুকনো খাবার প্রত্যেক ব্লকে পাঠানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌছে দেওয়ার কাজ চলছে। এখনও যাঁরা পাননি, শীঘ্রই তাঁরা পেয়ে যাবেন। আর সাইক্লোন সেন্টারগুলি থেকে রান্না খাবার বণ্টন করা হচ্ছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Sagar Island, #amphan, #Cyclone Amphan, #Amphan Super Cyclone, #amphan aftermath

আরো দেখুন