দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

মাঠেই পচছে ক্ষেত ভর্তি ফুল, সরকারের দ্বারস্থ ফুলচাষীরা

May 28, 2020 | < 1 min read

করোনা লকডাউন আর আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ পরগনা, নদিয়া, হুগলি সহ রাজ্যের ফুলচাষ সংশ্লিট জেলাগুলির ফুলচাষীদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আজ রাজ্যের উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকে ই.মেলে স্মারকলিপি দিল সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতি।

পুর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে পশ্চিমের পিংলা, ডেবরা সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার ফুলচাষের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। যার ফলসরূপ মাথায় হাত পড়েছে ফুল চাষীদের। ফুলচাষীদের কথায়, দীর্ঘ লকডাউন ও আমফান ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের ফুলচাষ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির ফুলচাষ একেবারে ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে।

এমনিতেই লকডাউনে ফুল বিক্রি হচ্ছিল না। তারপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতে ফুলবাগানগুলিতে জল জমে ও ফুলগাছ পড়ে গিয়ে চাষ একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কয়েক মাস পরে যেখানে দুর্গাপুজো। পূজায় ফুল সরবরাহ রাখতে গেলে এখনই নুতন করে ফুলচাষীদের চাষাবাদে হাত লাগাতে হবে। কিন্তু চাষীদের এখন সেই সামর্থ্য নেই।

এই মুহূর্তে সরকারি সাহায্য না পেলে কোনোভাবেই চাষিরা পরবর্তী চাষে হাত দিতে পারবে না। তাই মন্ত্রীর কাছে এই স্মারকলিপি জমা দিয়ে এককালীন ক্ষতিপূরণের আবেদন করা হয়েছে বলে ফুলচাষী সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নারায়ন নায়েক জানান। পুর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, দেউলিয়া সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের আয়ের উৎস যেখানে ফুলচাষ, সেখানে লকডাউন আর প্রকৃতির মারে পথে বসার যোগাড় কৃষকদের।

সংকট কাটাতে সকলের আশা, পাশে দাঁড়াবে সরকার। সেই আশা নিয়েই এখন অতি কষ্টেই দিনযাপন করছেন ফুলচাষীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#amphan aftermath, #purba medinipur, #horticulture, #flower, #flower waste, #Lockdown, #flowers, #flower market

আরো দেখুন