কলকাতা পুরসভার অধীনস্থ মার্কেটগুলিতে বিধিনিষেধ মেনেই দোকান খোলার অনুমতি
লকডাউন-৪ চলছে। কিন্তু শহরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কিছু কিছু জায়গায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছে প্রশাসন। সেই অনুযায়ী, কলকাতা পুরসভাও তাদের অধীন মার্কেটগুলি খোলার ব্যাপারে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সিদ্ধান্তগুলি মানলে তবেই দোকান খুলতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার এব্যাপারে এক বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন মার্কেট বিভাগের চিফ ম্যানেজার। তিনি তাঁর বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘সি’ এবং ‘বি’ জোনে দোকান, সেলুন, পার্লার, বেসরকারি অফিস খোলার ব্যাপারে কিছু কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে। বলা হয়েছে, ‘সি’ জোন বা ক্লিন জোনে থাকা কলকাতা পুরসভার মার্কেটগুলিতে দোকান খোলা যাবে। তবে সেই দোকানে সর্বোচ্চ পাঁচজনের বেশি যেন কেউ না থাকেন। যে ক্রেতারা আসবেন, তাঁদের একে অপরের থেকে ছ’ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত বিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। কোনওভাবেই যেন একজন ক্রেতা অন্যজনের গায়ের উপর এসে না পড়েন। পাশাপাশি, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারেও জোর দেওয়া হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়েছে, মাস্ক না পড়ে আসলে দোকানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিক্রেতাকেও মাস্ক পড়ে থাকতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করে তবেই দোকানে ঢোকা যাবে। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে ‘সি’ জোনে থাকা বেসরকারি অফিসগুলিতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে বলে জানানে হয়েছে।
পুরসভার বিজ্ঞপ্তিতে সেই পথকেই অনুসরণ করে বলা হয়েছে, কলকাতা পুরসভার মার্কেটগুলিতে যে বেসরকারি অফিস রয়েছে, সেখানে রোজ ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী থাকতে পারবেন না। অফিস কর্তৃপক্ষকে রোস্টার অনুযায়ী কাজ করতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে হবে। কোনও লজ বা হোটেল যদি খোলা হয়, তাহলে কঠোরভাবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
সেলুন বা পার্লারগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পাশাপাশি নিয়মিত সবকিছু স্যানিটাইজ করতে বলেছে পুর প্রশাসন। মার্কেটগুলির ভিতরে থাকা হোটেল বা রেস্তরাঁগুলিতে বসে খাওয়া নিষেধ। শুধুমাত্র ‘হোম ডেলিভারি’ ব্যবস্থা চালু থাকবে। পান, গুটখা, সিগারেট বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে, ‘বি’ জোন বা বাফার জোনে থাকা মার্কেটগুলিতে দিনপিছু ২৫ শতাংশ দোকান খোলা যাবে। রোস্টার অনুযায়ী দোকান খোলা হবে। মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনকে সেই রোস্টার অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিধিনিষেধ না মানলে যাবতীয় অনুমতি বাতিল করা হবে এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।