পুজোয় পোশাক বিক্রি কমতে পারে ৭০ শতাংশ
লকডাউনের জেরে চৈত্র সেল, পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া এমনকী ঈদেও পসরা সাজাতে পারেনি শাড়ি, জুতো, জামাকাপড়, বৈদ্যুতিন পণ্যের দোকানগুলি। সামনে পুজোর মরসুমেও বিক্রির হাল ফেরার সম্ভাবনা দেখছে না ছোট থেকে বড় জামাকাপড়, শাড়ির দোকানগুলি।
সোদপুর, কাঁচরাপাড়া, শ্রীরামপুর, বারাসতে তাদের দোকান খুলেছে শ্রীনিকেতন। প্রতি বছর জামাইষষ্ঠীর আদলে বৌমাষষ্ঠী করে সংস্থাটি। ২৩ মে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা সংক্রমণের ভয় এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে এ বছর অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে সংস্থাটি। জামাইষষ্ঠীর বিক্রিবাট্টাও খুবই কম হয়েছে। পুজোয় বাজার ভালো হওয়ার কোনও আশাই নেই।
এ মাসের ৫ তারিখ থেকে দোকান খুলেছে কৃষ্ণনগরের ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়। দোকানের মালিক বঙ্কিম সিংহের কথায়, ‘গত বছর ঈদে যত বিক্রি হয়েছিল এ বার তার ২০ শতাংশ হয়েছে। জামাইষষ্ঠীতেও একই হাল। সব থেকে বড় সমস্যা হল, এর শেষ কোথায় তা আমরা কেউ জানিনা।’ অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে না ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ের। বিক্রম বলেন, ‘আমরা যে প্যাকেটে করে জিনিসটা পাঠাবো, সেটাও তো লোকে নিতে ভয় পাচ্ছে। পুজোতেও বিক্রি ২৫-৩০ শতাংশ মতোই হবে।’ নিত্য ব্যবহারের জামাকাপড়ের বিক্রি যে বাড়বে সে কথা স্বীকার করেন বঙ্কিম।
গত বছরের তুলনায় এ বার পুজোয় ৭০ শতাংশ ব্যবসা কম দেখছে আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল। সংস্থার কর্ণধার আশিস কাঞ্জিলাল বলেন, ‘বিক্রি প্রায় নেই বললেই চলে। এ বার পুজোয় বিশাল বাজার হবে না বলেই আমার ধারণা। সব মিলিয়ে মাত্র ৩০ শতাংশ ব্যবসা এলেই যথেষ্ট।’
সাতদিন হল দোকান খুলেছে সোদপুরের শাড়ির দোকান সিলেক্ট স্টোর্স। মালিকের কথায়, ‘বিক্রি কত হত জানি না, তবে উম্পুন ঈদের বাজারটাও নিয়ে গেল। টুকটাক ক্রেতা আসছেন জামাইষষ্ঠীর বাজার করতে। এ মুহূর্তে এটাই ভরসা। এর মধ্যেই গোটা বছরের ২৫ শতাংশ ব্যবসা মার খেয়েছে। পুজোয় মেরেকেটে ৩০ শতাংশ বিক্রি আসবে।’