রাজ্যে খুলছে ধর্মীয় স্থান, চালু হচ্ছে অফিসও: মুখ্যমন্ত্রী
আগামী পয়লা জুন থেকে রাজ্যে খুলছে ধর্মীয় স্থান, চালু হচ্ছে অফিসও। কিন্তু এই সবই হবে কড়া নিয়ম মেনে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আজ একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক জায়গাতেই বহু মানুষ জড়ো হচ্ছেন। একসঙ্গে সবাই বাজারে গেলে করোনার সংক্রমণ বাড়বে। এ ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যেখানেই যাবেন, মাস্ক অবশ্যই পরবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ১ জুন সকাল দশটা থেকে থেকে মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জা খোলা যাবে। কিন্তু জমায়েত করা যাবে না। বড় কোনও উৎসব এখনই হবে না। মন্দির-মসজিদে ঢুকতে গেলে স্যানিটাইজের ব্যবস্থা রাখতে হবে। একসঙ্গে কোনও ভিড় হলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বাসে কম লোক নিয়ে চালাতে হচ্ছে, তাতে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে। বাস মালিকদের অনুরোধ, যতগুলো সিট আছে, তত যাত্রী নিন। বাসে অবশ্যই মাস্ক পরুন, বাসে ওঠার সময় স্যানিটাইজ করুন।
পরিযায়ী ইস্যুতে তিনি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, শ্রমিক এক্সপ্রেসের নামে কি করোনা এক্সপ্রেস চালাচ্ছেন? আপনারা ট্রেনে তুলে দিচ্ছেন, ক্ষমতার থেকে দ্বিগুণ সংখ্যক যাত্রী। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য হটস্পট থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের কোনও পরীক্ষা হয়নি।
ওনার বক্তব্য, যখন বড় কোনও তীর্থযাত্রা হয়, তখন যেমন অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হয়। শ্রমিক স্পেশাল কেন বেশি করে চালানো হচ্ছে না, কেন বগি বাড়ানো হচ্ছে না?