এই বছর ৬ কোটি গাছ বসানোর পরিকল্পনা রাজ্যের
কলকাতা ও সংলগ্ন তিন পুরসভা এলাকায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৭ হাজার গাছ প্রতিস্থাপনের বেনজির সিদ্ধান্ত নিল বন দপ্তর। একই সঙ্গে, রাজ্য জুড়ে চলতি বছরে প্রায় ৬ কোটি গাছ বসানোর পরিকল্পনা নিয়েও এগোচ্ছে তাঁরা। এর জন্য বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত দপ্তরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলার হারানো সবুজ ফেরানোর চেষ্টা চলবে।
আম্পান পরবর্তী বিপর্যয় হিসাব করতে বসে এমনিতেই মাথায় হাত পড়েছে রাজ্যের বনকর্তাদের। কারণ চাষের জমি ও অন্য পরিকাঠামোগত ক্ষতির পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, নদিয়া জেলায় শুধু সবুজই ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১৬০০ বর্গ কিলোমিটার।
এ ছাড়াও কম হলেও ক্ষতির মুখে পড়েছে ঝাড়গ্রাম, হুগলি, মালদহ-সহ কয়েকটি জেলা। বনকর্তাদের হিসাব বলছে, অন্তত ১৬ লক্ষ গাছ নষ্ট হয়েছে উম্পুনে। সেই সবুজ ফেরাতে একের বিনিময়ে ১০টি গাছ বসানোই এখন লক্ষ্য। তবে সেই পথে সবুজ ফিরতে অনেকটা সময় লাগবে। তাই কংক্রিটের জঙ্গলে ভরা শহরাঞ্চলে বনকর্তারা প্রতিস্থাপনেও জোর দিচ্ছেন।
১০ বছরের পুরোনো ২০ ফুট উচ্চতার অন্তত ৪৫০০টি গাছ এবং ৩ বছরের পুরোনো ১৬ ফুট উচ্চতার প্রায় ১২৫০০ গাছ কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হবে। আগামী ১ বছর সেই গাছগুলির বিশেষ যত্নও নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি আগামী ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ‘কলকাতা রিগ্রিনিং’ নামে বিশেষ সবুজায়ন পরিকল্পনার আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হবে।
সবুজশ্রী প্রকল্পে এমনিতেই দেড় কোটি গাছ বসানোর কথা। তার সঙ্গে বিশেষ পরিকল্পনা ছিল রাজ্য জুড়ে আরও ২ কোটি গাছ লাগানোর। আম্পানের পর বনসৃজনের সেই লক্ষ্যমাত্রা আরও ৩ কোটি বাড়ানো হয়েছে।