দেশ বিভাগে ফিরে যান

আর্থিক বৃদ্ধি গত ১১ বছরে সর্বনিম্ন

May 30, 2020 | < 1 min read

লকডাউনের আগে থেকেই যে দেশের অর্থনীতি বেহাল ছিল, তার প্রমাণ মিলল। সরকারি পরিসংখ্যানই জানাল, জানুয়ারি থেকে মার্চ, অর্থাৎ গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩.১%। এই তিন মাসে শুধু শেষ সাত দিন লকডাউন ছিল।

গত আর্থিক বছর, ২০১৯-২০-তে বৃদ্ধির হার ৪.২%-এ আটকে থেকেছে। ২০০৮-এর মন্দার পরে ১১ বছরে আর্থিক বৃদ্ধি এত নীচে নামেনি। নোটবাতিলের আগে ২০১৬-১৭-র ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধির কার্যত অর্ধেক। আজ সরকারি হিসেব জানিয়েছে, মোদী সরকার ২০১৯-২০-তে রাজকোষ ঘাটতিও ৩.৮%-এর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে পারেনি। তা ৪.৫৯%-এ গিয়ে ঠেকেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চের মধ্যরাত থেকে দেশে লকডাউন জারি হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ— তিন মাসের ৯১ দিনের মধ্যে ৭ দিনের লকডাউনেই বৃদ্ধির হার ৩.১%-এ নেমে আসায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের মন্তব্য, “এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি সরকার কেমন অর্থনীতি পরিচালনা করছে।”

গোটা এপ্রিল-মে মাসের লকডাউনের পরে অর্থনীতি কোন তলানিতে ঠেকেছে, তারও ইঙ্গিত মিলেছে। শিল্প মন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানিয়েছে, এপ্রিলে আটটি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উৎপাদন ৩৮.১% কমেছে। জানুয়ারি-মার্চে বাজারে কেনাকাটার খরচ বেড়েছে মাত্র ২.৭%। যা দেখে নতুন লগ্নি বোঝা যায়, সেই মূলধনী পণ্য বা কারখানার যন্ত্রপাতিতে খরচ কমেছে ৬.৫%।

দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করছিলেন। দেখা যাচ্ছে, তাতে সরকারি খরচ মাত্র ২ লক্ষ কোটি টাকার মতো। গত বছরেই রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েও তা পূরণ করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। এ বছর লকডাউনের ফলে রাজস্ব আয় কমবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#GDP, #GDP fall

আরো দেখুন