কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ
পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুক্রবারই লকডাউন শিথিল করার ব্যাপারে বেশ কিছু ঘোষণা করেছিল। শনিবার কেন্দ্রের নির্দেশিকা প্রকাশের পর নবান্নও একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কনটেনমেন্ট জোনে কেন্দ্র লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন অবধি বাড়ালেও রাজ্য আপাতত দু’সপ্তাহ (১৫ জুন) অবধি লকডাউন চালাবে।
নবান্ন জানিয়েছে, ১ জুন থেকে রাজ্যের ছোট, মাঝারি, ও বড় শিল্প কারখানাগুলি ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। টিভি ও সিনেমা প্রোডাকশনের ক্ষেত্রেও মিলেছে সুসংবাদ। রাজ্য জানিয়েছে, রিয়েলিটি শো বাদে সিনেমা, ওয়েবসিরিজ ও টিভি সিরিয়াল প্রস্তুতকারকরা ১ জুন থেকে আউটডোর ও ইন্ডোর শ্যুটিং করতে পারবেন। তবে ইউনিটে একসঙ্গে ৩৫ জনের বেশি কাজ করতে পারবেন না। ওয়েব পোর্টাল এবং ওটিটি প্লাটফর্মের ক্ষেত্রেও ছাড় প্রযোজ্য।
তবে, আন্তর্জাতিক উড়ান, মেট্রো ও লোকাল ট্রেন আপাতত বন্ধ থাকছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই নির্দেশিকার কথা জানিয়ে স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে তাদের মতামত চেয়েছেন।
লকডাউনে নাভিশ্বাস ওঠা অর্থনীতিকে অক্সিজেন জোগাতে ‘আনলক ১’-এর ফর্মুলা ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, শুধুমাত্র কনটেনমেন্ট জোনে ৩০ জুন অবধি বহাল থাকবে লকডাউন। কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হবে জনজীবন। ৮ জুন থেকে খুলবে ধর্মীয় স্থান, শপিং মল, হোটেল-রেস্তোরাঁ।
জুলাই থেকে স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হবে, তবে সেটা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে আলোচনা করে। তৃতীয় ধাপে পরিস্থিতি বুঝে চালু হবে আন্তর্জাতিক বিমান, জিম, মেট্রো, পানশালা, থিয়েটার, তবে সবই ছ’ফুটের দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় স্পষ্ট— করোনা রুখতে লকডাউনের কড়াকড়ি নয়, বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনজীবন স্বাভাবিক করে ‘জান ও জাহান’ বাঁচানোর পথেই হাঁটছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।