স্বাদ মিলবে, পাওয়া যাবে পুষ্টিগুণও
মোমো নেই। পিৎজা নেই, নেই ক্রিসপি চিকেন, ফুচকাও। করোনার ভয়ে লকডাউনের সময় পছন্দের খাবারও অমিল। অসুখ থেকে বাঁচতে রাস্তাঘাটের খাবার, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা। এ দিকে বিকেল হলেই হালকা খিদে উঁকিঝুঁকি মারে। এত দিন এই সব খিদের উত্তরে পাতে পড়ত দোকানের চপ-কাটলেট, মুড়ি-পিঁয়াজি, ফুচকা, মোমো বা রোল-চাউমিন। এখন এ সব রোজ রোজ বাড়িতে বানানোও ঝঞ্ঝাটের।
তাই বিকেলের জলখাবারে কিছুটা নতুনত্ব আনুন। পেট ভরবে, খেতে ভাল, আবার পুষ্টিকরও এমন কিছু জলখাবারের হদিশ রইল।
স্যুপ: চা পানের আগে একটু স্যুপ হলে ভাল জমে। ছোট-বড় সকলেই খুশী হয়। সব্জির ঝুড়িতে গাজর, টম্যাটো, পেঁয়াজ, রসুন তো থাকেই। তার সঙ্গে যদি ভুট্টা ছাড়িয়ে নেওয়া যায় তা হলে তো কথাই নেই।
টিক্কা: মাছ-মাংস সংগ্রহে না থাকলেও চিন্তা নেই। বিকেলের জলখাবারে রাখতে পারেন পনির, গাজর ক্যাপসিকাম বা আলুর টিক্কা। পনিরের টুকরোতে নুন, হলুদ, জিরে ও গরম মশলা গুঁড়ো মাখিয়ে প্যানে সামান্য তেলে নেড়ে চেড়ে নিলেই টিক্কা রেডি। অন্য দিকে আলু, গাজর সেদ্ধ করে মেখে নিয়ে ক্যাপসিকাম, কাচালঙ্কা, ধনেপাতা কুচো দিয়ে মেখে হাতের তালুর মাধ্যমে গোল আকার দিয়ে সেঁকে নিতে হবে। চিকেন থাকলে স্যালো ফ্রাই বা সতে করে নিতে পারেন, কিংবা মশলা মাখিয়ে সামান্য মাখন দিয়ে গ্রিল করে নিলেই মুখরোচক টিক্কা তৈরি।
চিঁড়ের চাট: শুকনো কড়ায় চিড়ে ভেজে নিন। তাতে বাদাম, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা দিয়ে চটপট বানিয়ে নিয়ে পারেন লো ক্যালোরি চিড়ের চাট। এই খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এমন জলখাবারে মেদ বাড়ার ভয়ও থাকে না।
ছোলা মাখা: আগের দিন রাতে ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে জল ফেলে চাপা দিয়ে রাখলে কল বেরবে। ছোলা ধুয়ে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচালঙ্কা, ধনে পাতা, পাতিলেবু আর বিটনুন অথবা চাট মশলা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পুষ্টিকর চানা।
মুড়ি মাখা: তবে লকডাউনের দিনে সব সময় ইচ্ছে হলেও হাতের কাছে পছন্দের উপকরণ মিলবে না। বাড়িতে থাকা মুড়ি, চিড়ে, ছোলা, বাদাম দিয়েও দারুণ পুষ্টিকর আর সুস্বাদু টিফিন বানিয়ে নিতে পারেন। তা ছাড়া পাঁচ ফোড়নে ছোলা ভেজানো নেড়ে তার সঙ্গে মুড়ি দিয়ে নেড়ে নিলেও মচমচে উপাদেয় টিফিন তৈরি।