উপসর্গহীনদের নিয়েই চিন্তায় আইসিএমআর
ভারতে ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ হওয়া ৪০ হাজার ১৮৪ জনের মধ্যে অন্তত ২৮ শতাংশের ক্ষেত্রে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। ফলে, সামান্য উপসর্গ বা সম্পূর্ণ উপসর্গহীনদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তা অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে (আইজেএমআর)।
বিজ্ঞানীদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট সংক্রামিতের ৫.২ শতাংশই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী। আইসিএমআর-এর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজির অধিকর্তা মনোজ মুরহেকর বলেছেন, করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান দুশ্চিন্তার কারণ এই উপসর্গহীন ব্যক্তিরাই। তিনি জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সংখ্যা বেশি।
প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় ১০ লক্ষ ২১ হাজার ৫১৮ জন সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম-করোনা ভাইরাস-২ তে আক্রান্ত হয়েছেন। মার্চের গোড়ায় প্রতিদিন ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছিল। এপ্রিলের শেষে তা বেড়ে হয়েছে প্রতিদিন ৫০ হাজার। এর মধ্যে ৪০ হাজার ১৮৪ জনের রিপোর্ট (৩.৯%) নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ৫০-৬৯ বছরের বয়সীদের মধ্যেই আক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি (৬৩.৩%)। আর সবচেয়ে কম ১০ বছরের কমবয়সীদের মধ্যে (৬.১%)। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে কোভিড নমুনা পরীক্ষার ফল সবচেয়ে বেশি পজিটিভ এসেছে মহারাষ্ট্র (১০.৬%), দিল্লি (৭.৮%), গুজরাত (৬.৩%), মধ্যপ্রদেশ (৬.১%) এবং পশ্চিমবঙ্গে (৫.৮%)।
নমুনা সংগ্রহের সময় ১২ হাজার ৮১০ জনের ক্ষেত্রে কাশি ও জ্বরের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। আর এক তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রে ছিল গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। ৫ শতাংশের কম জনের ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তবে চিন্তা উপসর্গহীনদের নিয়েই।