মোবাইল, নেট স্বাভাবিক হতে আরও দিন পনেরো
আম্পান তাণ্ডবের পর কেটেছে ১২ দিন। এখনও কলকাতা-সহ বেশ কিছু জায়গায় মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। তথৈবচ ইন্টারনেট, ওয়াইফাই পরিষেবাও। এই পরিষেবা স্বাভাবিক হতে লাগবে আরও ১৫ দিন লাগবে।
সোমবার রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন শহরের চারটি প্রধান টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থার প্রতিনিধিরা। লকডাউন পর্বে অনেক স্কুল-কলেজে অনলাইনে ক্লাস চলছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন অনেকে। গোটা পরিষেবাটাই ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই নির্ভর। উম্পুনের পর থেকে অনেকের কাজকর্মই শিকেয়। মোবাইলে অনেক সময় নেটওয়ার্ক টাওয়ার দেখালেও কল যাচ্ছে না। চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। তাঁরা মোবাইল, ইন্টারনেটের খরচ দিয়েও কেন পরিষেবা পাচ্ছেন না, কত দিনে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে—তা নিয়ে আলোচনা করতে এ দিন চারটি প্রধান সার্ভিস প্রোভাইডারকে তলব করেছিলেন ক্রেতাসুরক্ষামন্ত্রী।
ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, মন্ত্রী জানতে চান, এদের মধ্যে একটি সংস্থা ভূগর্ভস্থ কেবল ব্যবহার করলেও কেন অন্য সংস্থাগুলি তা করছে না? সে ক্ষেত্রে এত দিন নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে পড়ে থাকত না। এর জবাবে তিনটি সার্ভিস প্রোভাইডারের তরফে জানানো হয়, তারা এরপর ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ করবে। সেই কাজের জন্য কলকাতা পুরসভায় আবেদনও করেছে তারা। ঝড়ে যে সব মোবাইল টাওয়ার উপড়ে গিয়েছে, সেগুলি মেরামত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ১৫ দিন লাগবে।
তাদের ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতে মোটামুটি ওই রকমই সময় লাগবে। চারটি সার্ভিস প্রোভাইডারের মধ্যে যে সংস্থার ভূগর্ভস্থ কেবল রয়েছে, উম্পুনের পর তাদের পরিষেবা তুলনায় অনেকটা ভালো। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরাও অনেকে বলেছেন, দুর্যোগের পর ওই সার্ভিস প্রোভাইডারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই দুর্গত জেলায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তবে টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরও। অন্য সার্ভিস প্রোভাইডারদের অবস্থা আরও খারাপ।
সাধন পরে বলেন, ‘আমি জানতে চেয়েছি কেন এ রকম হবে? কতদিন চলবে? এতে গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে। যে সংস্থাটি ভূগর্ভস্থ কেবল ব্যবহার করে, তারা ছাড়া বাকি তিনটি সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা একসঙ্গেই ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ করবে। এর জন্য পুরসভায় আবেদন করেছে তারা। আমি নিজে কলকাতা পুরসভার কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করলে তাঁরা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।’