জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

চাহিদা বাড়ছে বাসন মাজা মেশিনের

June 3, 2020 | 2 min read

নিত্য ঝামেলা আর কাঁহাতক সওয়া যায়! একেই বাড়িতে বসে টানা অলস-অবসর। পরিবারের সঙ্গে খোশগপ্পেও আর মন ভরছে না। একঘেয়েমি টিভির পর্দা। গল্প, উপন্যাসেও পার হচ্ছে না সময়। মেজাজ যাচ্ছে বিগড়ে। তার উপর এঁটো থালাবাসন ধোয়া! ঘরদোর সাফসুতরো করা! নৈব চ নৈব চ…। পরিচারিকার নিত্যকাজ ভাগাভাগি করেও সংসার-সুখ উধাও।

কোভিডের আগ্রাসন থেমে নেই। লকডাউন কবে উঠবে তার নেই ঠিক। বাড়ির পরিচারিকাও কবে বা‌ড়িমুখো হবেন কে জানে! তার চেয়ে বরং যন্ত্র-গুণে সংসার হোক সুখের। এটাই এখন বড় বাসনা আম-মধ্যবিত্তের। আর সেই বাসনাতেই গৃহস্থালী পণ্যের তালিকায় পাকা জায়গা করে নিচ্ছে ‘ডিসওয়াশার মেশিন’ কিংবা ‘ভ্যাকুয়াম ক্লিনার’। রাতারাতি মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে এই দু’টি সাংসারিক যন্ত্র। ব্যবসাও বাড়ছে হু হু করে।

দীর্ঘ দু’মাস পর খানিক শিথিল হয়েছে লকডাউন। দেশের সর্বত্র অল্প অল্প করে খুলছে দোকান-পাট। কোভিডের প্রকোপ বাড়লে ফের পূর্ণ লকডাউনের আশঙ্কাও অমূলক নয়। তাই এই সুযোগেই সংসারকে যতটা সম্ভব মেশিন নির্ভর করে তুলতে চেষ্টার কসুর করছেন না কেউই। দোকানে দোকানে লাইন লাগিয়েছে প্রায় প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবারই। সে বেঙ্গালুরুই হোক অথবা দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই মায় কলকাতা। 

বাসন মাজা মেশিন

লকডাউন শিথিল হওয়ার ক’দিনের মধ্যেই ডিশওয়াশারের চাহিদা এক লাফে বেড়ে গিয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারেরও চাহিদাও খুব একটা কম বাড়েনি।

বেঙ্গালুরুর একটি ইলেকট্রিনিক্সের কর্ণধার বলেন, ‘দোকানে এসে অসহায় মুখে গ্রাহকদের একটাই জিজ্ঞাসা- দাদা, ডিশওয়াশার রয়েছে নাকি? বিশ্বাস করবেন না, মাত্র ক’দিনেই ৭০ শতাংশ চাহিদা বেড়ে গিয়েছে এই গৃহস্থালী পণ্যের। আমরা দিনে ৫-৬টি ডিশওয়াশার মেশিন বিক্রি করছি। চাহিদার সঙ্গে যোগানের তাল মেলাতে পারছি না। গ্রাহকদের পছন্দ মাফিক অর্ডার নেওয়া শুরু করেছি।’

কী বলছেন ক্রেতারা? এক গৃহবধূর মতে, ‘সত্যি বলতে কী আর পেরে উঠছিলাম না। আমাদের আবাসনে পরিচারিকাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বাড়ির কাজ করতে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। এবার ডিশওয়াশার কিনে একটু স্বস্তি পেলাম।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19, #lock down, #Dishwashing machine

আরো দেখুন