‘লকডাউনের আগে পরিযায়ীদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা যেত’: মমতা
কেন্দ্রের অদূরদর্শিতার কারণেই লকডাউনে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। ফের তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘লকডাউন ঘোষণার আগেই যদি পরিযায়ীদের ফেরানোর বন্দোবস্ত করত কেন্দ্র তাহলে ওদের দুর্ভোগে পড়তে হত না।’ তিনি এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ট্রেন ও সড়কপথে সাড়ে আট লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। তিনি এদিন জেলাশাসক ও এসডিও-বিডিওদের নির্দেশ দিয়েছেন, সব পরিযায়ীদের তালিকা তৈরি করতে। তাদের কুটির ও ক্ষুদ্রশিল্পের কাজে লাগানো হবে। প্রয়োজনে ১০০ দিনের কাজে তাঁদের শ্রম ব্যবহার করা হবে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে একটি টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, “ইচ্ছে থাকলেও রাজ্যের সংগতি নেই। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র পাশে দাঁড়ালে পরিযায়ী শ্রমিকরা উপকৃত হবেন।” PM CARES থেকে পরিযায়ী ও অসংগঠিত শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকা করে পাঠানোর আরজিও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তারপরই এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি তোপ দেগে বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাড়াটুকু দেয়নি রেল। আমরাই টাকা দিয়ে ফেরত এনেছি আমাদের রাজ্যের শ্রমিকদের। পরিযায়ীদের ভাড়া বাবদ ২৫ কোটি টাকা রেলকে দিয়েছে রাজ্য।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় তৈরি রাজ্যের ২০০ কোটি টাকার ফান্ড প্রায় শেষ। তিনমাস ধরে কোনও রোজগার নেই রাজ্যের। নো আর্নিং, ওনলি বার্নিং। তাও রাজ্য কোষাগার থেকে স্নেহের পরশ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৫৭ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা করে দিয়েছে সরকার। কেন্দ্র কত দিয়েছে? সব নিজেরাই করেছি। তাও শ্রমিকদের উসকানো হচ্ছে।’ এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, নবান্নের দু’জন ড্রাইভার করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাই প্রত্যেক গাড়িচালককে টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার গোটা নবান্ন স্যানিটাইজ করা হবে।