পথে বাস কমই, ভাড়া ইচ্ছেমতো
অনেক আশা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে বৃহস্পতিবারও সেই যান দুর্ভোগের ছবি। বেসরকারি বাস-মিনিবাস রাস্তায় নামলেও সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল। কোথাও কোথাও সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে বাড়তি ভাড়াও চাওয়া হয়েছে। আনলক-ওয়ানের প্রথম তিন দিনের তুলনায় এ দিন রাস্তায় বাসের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও তাই ভোগান্তি পোহাতেই হয়েছে মানুষকে।
বুধবার বেসরকারি বাস-মিনিবাস মালিকদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, এদিন থেকে রাস্তায় পুরোনো ভাড়াতেই নামবে বাস-মিনিবাস। যাত্রীদের অনেকেই তাই রাস্তায় বেরিয়েছিলেন কিছুটা আশা নিয়ে। কিন্তু তাঁদের অভিজ্ঞতা বলছে, অধিকাংশ রুটেই বাস-মিনিবাস ছিল অমিল।
কিছু রুটে আবার পরিবহণ দপ্তরের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘করোনাভাইরাস স্পেশ্যাল ফেয়ার’ নাম দিয়ে নিজেরাই ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বাস-মিনিবাসের কর্মীরা! ভরসা বলতে যে সরকারি বাস, সেখানেও আনলক-ওয়ান এর প্রথম তিন দিনের মতোই সামাজিক দূরত্ব বিধি ভঙ্গের ছবি শহরের রাস্তায়। যদিও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বা বেসরকারি বাস-মিনিবাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা দুর্ভোগের কথা মেনে নিয়েও আশ্বাস দিচ্ছেন, দিন কয়েকের মধ্যেই অবস্থার উন্নতি হবে।
ভুক্তভোগীদের একজন গড়িয়াহাটের একটি কাপড়ের দোকানের কর্মী ধনঞ্জয় পাত্র। গড়িয়ায় বাড়ির সামনে থেকে বাসে উঠবেন, এই আশায় সকাল সাড়ে ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ঘণ্টা দেড়েক দাঁড়িয়েও বাস না-পেয়ে তিনি হেঁটেই রওনা দেন দোকানে। চড়া রোদে সকাল ১১টা নাগাদ ঘেমেনেয়ে চান করে দোকানে পৌঁছে তিনি বলছিলেন, ‘আড়াই মাস পর দোকান খুলেছে। ভেবেছিলাম, আজ থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে।’