বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ৯৫% জায়গায়, দাবি মন্ত্রীর
আম্পানের পরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এলাকায় যে সমস্ত গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি, ৩ দিনের মধ্যে তা স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে রবিবার বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, দুই ২৪ পরগনা জেলার কয়েকটি এলাকা ছাড়া সুপার সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৫ শতাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিয়েছে বণ্টন সংস্থা।
জুম প্ল্যাটফর্ম ও ফেসবুক লাইভ মারফৎ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ লক্ষ পোল পড়ে গিয়েছে। সুন্দরবনে জলের তলায় রেলপোল ভেঙে দুমড়ে গিয়েছে। জলের তলায় সিমেন্ট করব কী করে? এই বাস্তব সমস্যাটা বুঝতে হবে। আম্পান বিভিন্ন জেলায় আমাদের মোট ৮৮ লক্ষ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তার মধ্যে ৯৫% জায়গায় কাজ সম্পূর্ণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিয়েছি। বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যানকে বলেছি ১০০ শতাংশ না হলেও তিন দিনের মধ্যে ৯৮-৯৯ শতাংশ এলাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক করতেই হবে।’
তিনি অবশ্য এ দিন স্বীকার করে নিয়েছেন, আম্পানে যে এতটা ক্ষতি হবে তা কেউই ধারণা করতে পারেনি। সুন্দরবনের ১৬টি গ্রাম, বাদুড়িয়া ও বারুইপুর মহকুমার একটা অংশ এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। শোভনদেব বলেন, ‘গত নয় বছর ধরে ২৪X৭ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পেয়ে আমাদের রাজ্যের মানুষ অভ্যন্ত। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলে যে মানুষ ক্ষুব্ধ হবেন, তাতে ভুল কিছু নেই। এখনও অনেক জায়গায় মানুষ এসি, জলের পাম্প চালাতে পারছেন না। কিন্তু, আমাদেরও কাজের একটা সীমানা রয়েছে। অনেক জায়গাতেই বুক সমান জল, জঙ্গলে তার পেঁচিয়ে পোল পড়ে গিয়েছে।’
আড়াই সপ্তাহ কেটে গেলেও পরিস্থিতি কেন সর্বত্র স্বাভাবিক হল না? এমনকী, আম্পানের তিন-চারদিন পরেও কলকাতা ও তার সন্নিহিত অঞ্চলের বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় সিইএসসি-র বিরুদ্ধেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এ ব্যাপারে শোভনদেবের মন্তব্য, ‘সিইএসসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তবে সিইএসসি আমাকে জানিয়েছে, সমস্ত জায়গায় স্বাভাবিক বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছনো নিশ্চিত করতে ওরা কাজ করছে। আর আয়লার পরে ওডিশায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে দেড় মাস লেগেছিল। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এলাকার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’