দাঁতের যত্ন নিন, মেনে চলুন এই নিয়মগুলো
আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিই না। আর সেই কারণেই ব্যথা বেদনার পাশাপাশি হাসতে গেলে মুখ চাপা দিতে হয়, কিংবা জোর করে মুখ চেপে হাসতে হয়। কারও দাঁত নিকোটিনের কারণে কালচে ছোপে ভরা। আবার কারও দাঁত অফ হোয়াইট। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দাঁতের অবস্থা দেখে কান্না পায়।
দাঁত ভাল রাখার সহজ সরল উপায় হল, দিনে দু’বার সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করা। আর প্রতি বার খাওয়ার পরে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ পরিষ্কার রাখা। দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরো আটকে থাকলে তা অবশ্যই পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।
কোভিড ১৯ কিন্তু শুরুতে মুখের মধ্যেই বাসা বাঁধে। তাই মুখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা জরুরি। মনে রাখবেন সিগারেট, বিড়ি, গুটখা, খৈনি-সহ যে কোনও তামাক দাঁতের পাশাপাশি ওরাল হাইজিন নষ্ট করে দেয়। আর মুখের ক্যানসারের এক অন্যতম কারণ যে তামাক, তা তো সবারই জানা।
কী করলে দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে?
- খাবার পর সঠিক পদ্ধতি মেনে ব্রাশ মাস্ট।
- টুথ পিক বা ফ্লস ব্যবহার করতে হলে আগে এক বার অন্তত ডেন্টাল সার্জেনের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যখনই টুথপিক ব্যবহারের প্রয়োজন হবে, বুঝবেন দু’টি দাঁতের মধ্যবর্তী গ্যাপ বেড়ে গিয়েছে। মূল কারণটা বুঝতে পারবেন এক জন চিকিৎসক।
- কোনও সমস্যা থাকুক না থাকুক, বছরে অন্তত একবার ডেন্টাল সার্জেনের কাছে যান।
- অনেকেই ভাবেন স্কেলিং করলে বুঝি দাঁত পাতলা হয়ে যায়। কিন্তু ঝকঝকে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দাঁত পেতে গেলে বছরে এক বার স্কেলিং মাস্ট।
- টুথপেস্ট ছাড়া গুঁড়ো মাজন বা নুন তেল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে সমস্যা হয়।
- এ ছাড়া পান, জর্দা, দোক্তা, খয়ের, সিগারেট, বিড়ি-সহ যে কোনও নেশা থেকে বিরত থাকলে দাঁত সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
এই নিয়মগুলো মানলে মুখ ঢেকে বা মুচকি হেসে দাঁতের সারি লুকিয়ে রাখতে হবে না। প্রাণ খুলে সকলের সামনেই হাসতে পারবেন।