করোনা আবহে বাড়ল ডাক্তারদের ভাতা
ওঁদের কেউ করোনা-আক্রান্তের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ আবার কোভিড থেকে নিজের এবং সতীর্থদের সুরক্ষার দাবিতে সরব হয়েছেন। কিন্তু, করোনা-আবহের মধ্যেও রোগী পরিষেবা থেকে মুখ ফেরাননি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের অক্লান্ত কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই এ বার ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নবান্নে এই ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেও কোভিড যুদ্ধে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা যে লড়াই করছেন, তাকে সম্মান জানাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে রাজ্যের দশ হাজার জুনিয়র ডাক্তার উপকৃত হবেন।’
ঘটনা হল, গত বছর ১০ জুন রাতে রোগী পরিবারের হামলার শিকার হন এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। তার পর জুনিয়র ডাক্তারদের নজিরবিহীন আন্দোলনে থমকে গিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। সেই ঘটনার এক বছর পূর্ণ হওয়ার ঠিক মুখেই ভাতা বাড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের। করোনা সংক্রমণ রাজ্যে মাথাচাড়া দেওয়ার পরেও কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পর্যাপ্ত পিপিই এবং মাস্কের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতা মেডিক্যাল এবং আরজি করে একের পর এক ডাক্তারি পড়ুয়া যখন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তখন অনেকেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা না-মিললে কাজ করতেও অস্বীকার করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভ প্রশমনে হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যভবনের উচ্চপদস্থ কর্তা, এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও মুখ খুলতে হয়। তবে, সুরক্ষা সামগ্রীর জোগান স্বাভাবিক হতেই কাজে ফিরে যান জুনিয়র ডাক্তারেরা।