কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

বাড়ছে রেস্তরাঁর খরচও, প্লেট-বাটির দাম মেটাতে হবে গ্রাহককেই

June 9, 2020 | < 1 min read

লকডাউনে প্রায় তিনমাস রেস্তরাঁয় যাওয়া হয়নি। চেখে দেখা হয়নি পছন্দের পদগুলি। তাই রেস্তরাঁ খুলতেই ভাবছেন পরিবার নিয়ে এবার ঢুঁ না মারলেই নয়। কিন্তু জানেন কি, এবার রেস্তরাঁয় ভুরিভোজের পর খাবারের দামের সঙ্গে দিতে হবে প্লেট-গ্লাস-চামচের দামও? এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁর মালিক।

বাড়ছে রেস্তরাঁর খরচ

আনলক ওয়ানে একাধিক নিয়ম মেনে খুলেছে শহরের রেস্তরাঁ,ক্যাফেগুলি। সরকারি নির্দেশিকা মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই সাজানো হয়েছে টেবিল-চেয়ার। সেই সঙ্গে একাধিক রেস্তরাঁয় গ্রাহকদের স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে পাতলা ফাইবারের প্লেট, গ্লাস, বাটি, চামচ। ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে তা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যার জন্য খরচ হচ্ছে মাথা পিছু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। রেস্তরাঁ মালিকদের কথায়, এই প্লেট-বাটির দাম নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকেই। এ প্রসঙ্গে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ইস্টার্ন রিজিওনের সভাপতি সুদেশ পোদ্দার বলেন, “৫০ শতাংশ রেস্টুরেন্ট সোমবার খুলেছে নিয়ম মেনেই। তবে অনেক জায়গাতেই ইউজ অ্যান্ড থ্রো প্লেটে খাবার দেওয়া শুরু হয়েছে। এই প্লেটের টাকাটা ক্রেতাকেই দিতে হবে।” জানা গিয়েছে, কেউ চাইলে রেস্তরাঁর পুরোনো প্লেট ব্যবহার করতেই পারেন, সেক্ষেত্রেও তা ভাল মতো স্যানাটাইজ করা থাকবে।

প্রসঙ্গত, রেস্তরাঁ খুললেও পার্ক স্ট্রিট থেকে বাইপাসের ধার, কোথাওই খুব একটা ক্রেতা নজরে পড়েনি। কারণ, এখন অনেকে মনেই প্রশ্ন, মনমতো আগের মতো খাবার মিলবে তো? রেস্তরাঁ আদৌ পরিচ্ছন্ন তো? মানা হচ্ছে তো সমস্ত নিয়ম? অনেকক্ষেত্রে আাবার পানশালা না খোলায় রেস্তরাঁ মুখো হচ্ছেন না আমজনতা। যদিও কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন হোটেল মালিকরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #restaurant owners

আরো দেখুন