উত্তরবঙ্গে খুলেছে শপিংমল, রেস্তরাঁ – নেই ক্রেতা
টানা দু’মাসের বেশি লকডাউনে বন্ধ ছিল রেস্তরাঁ, শপিংমল। অবশেষে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সোমবার থেকে শপিংমল, রেস্তরাঁ খুলেছে। সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরের মাটিগাড়ায় একটি এবং সেভক রোডে পরপর প্রচুর শপিংমল রয়েছে। এদিন থেকেই মলগুলি খুলে যায়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় বিভিন্ন মল কর্তৃপক্ষ। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মলের গেটেই থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ভিতরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে হয়। যদিও এদিন মাটিগাড়া, দোমাইল, এসএফ রোডে সহ বিভিন্ন এলাকার শপিংমলের অনেক দোকান, বহুশাখা বিপণী বন্ধ ছিল। ব্যবসায়ীরা বলেন, মল খোলা হলেও ক্রেতাদের দেখা পাওয়া যায়নি।
মাটিগাড়ার শপিংমলে কেনাকাটা করতে আসা তরুণী স্নেহা দাস বলেন, অনেকদিন পর শপিংমল খোলায় এলাম। থার্মাল স্ক্রিনিং করেই ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। পার্কিংজোনেও কড়াকড়ি করা হয়েছে। মলের ভিতরেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়। যদিও যেভাবে গত ক’দিন ধরে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে সংক্রামণের আশঙ্কায় অনেকেই ভিড় এড়িয়ে চলছেন। কিন্তু এদিন ফাঁকা থাকায় দ্রুত কেনাকাটা করতে পারলাম।
শিলিগুড়ির মতো একই ছবি আলিপুরদুয়ার জেলাতেও ছিল। সরকারি নির্দেশিকা মেনে আলিপুরদুয়ার জেলায় শপিংমলগুলি খোলে। কিন্তু ক্রেতাদের দেখা মেলেনি। লোকসানের আশঙ্কায় অধিকাংশ রেস্তরাঁ, হোটেলের ঝাঁপ তোলা হয়নি। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি শহরে জানজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে। শহরের বিভিন্ন এলাকার শপিংমল, খাবার ছোট হোটেল, রেস্তরাঁ এদিন খুলে যায়।
উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কর্মাসের (ফোসিন) সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ধীরে ধীরে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে কিছুদিন সময় লাগবে। বাজার খুলতে শুরু করায় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হচ্ছেন। আমরা এখন ক্রেতাদের অপেক্ষায় আছি। প্রতিটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে করোনা মোকাবিলায় সরকারি বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।