আম্পান বিধ্বস্ত সুন্দরবনবাসীদের জন্য ত্রাণ পাঠালেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ
ঘূ্র্ণিঝড় আম্পানের (Amphan) দাপটে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে গোটা সুন্দরবন। প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা ও সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কোনওক্রমে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষেরা। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা বুঝতে পেরে সুদূর বস্টনে বসেই সুন্দরবনবাসীদের সহযোগিতা করে চলেছেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Banerjee)। বন্ধু বান্ধব থেকে আত্মীয়, প্রত্যেককে ওই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।
২০ মে রাজ্যে তাণ্ডব চালিয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্পান (Amphan)। তার দাপটে গোটা রাজ্যের ছবিটাই পালটে গিয়েছে। সুন্দরবনের হাজার হাজার পরিবার ভিটে হারিয়েছেন। আশ্রয় নিয়েছেন নদীবাঁধে। প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার আনুকুল্যে কোনওক্রমে দু’মুঠো জুটছে। কিন্তু কাল কেউ সহযোগিতা না করলে কী হবে, তা জানেন না বিধ্বস্ত ওই মানুষগুলো। এই পরিস্থিতিতে দূরে থেকেও অসহায় মানুষগুলোর দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বস্টন ও সুন্দরবনের মাঝে সেতুর কাজ করেছে লিভার ফাউন্ডেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল। তাঁদের মাধ্যমেই সুন্দরবনবাসীর কাছে ত্রাণ পৌঁছেছেন অভিজিৎবাবু। জানা গিয়েছে, নোবেলজয়ীর উ্দ্যোগেই ওই সংস্থার তরফে আম্পান বিধ্বস্তদের জন্য চালানো হচ্ছে কমিউনিটি কিচেন। লিভার ফাউন্ডেশনের সম্পাদকের কথায়, “আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি শুনেই ভেঙে পড়েছিলেন অভিজিৎবাবু। সেই থেকে বারবার ফোন করে খবর নিয়েছেন। সহযোগিতা করে চলেছেন।”
এ প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বস্টনে বসে আমি ভিডিও দেখেছি সুন্দরবনের। সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার দুর্গতদের খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। যে গাছ বা গোয়ালের ক্ষতি হয়েছে সেটা ফেরানো সম্ভব নয়, কিন্তু অন্যভাবে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে হবে অসহায় সুন্দরবনবাসীদের।” কিন্তু কতদিনে ফের মাথার উপর ছাদ জুটবে? কতদিনে মিলবে পর্যাপ্ত পানীয় জল? সেই দিনের অপেক্ষাতেই অসহায় সুন্দরবনবাসী।