চিকিৎসকের অভাবে সমস্যায় মালদার আইসোলেশন সেন্টার
চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী নেই। ওষুধ রয়েছে বিভিন্ন বাক্সে। কোন রোগের জন্য কোন ওষুধ নিতে হবে, তাও স্পষ্ট বাংলায় লেখা রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে নিজেরাই সেখানে রাখা ওষুধ খেয়ে নেবেন। কোভিড সংক্রামিতদের জন্য এমন ব্যবস্থাই করা হয়েছে মালদা শহর সংলগ্ন মালদা মডেল মাদ্রাসা স্কুলের আইসোলেশন সেন্টারে। তবে কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকদের খবর দেবেন সেন্টারের নিরাপত্তাকর্মীরা। চিকিৎসকরা পৌঁছে তাঁদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ইংরেজবাজার শহর সংলগ্ন ইংরেজিমাধ্যম মডেল মাদ্রাসা স্কুলে তৈরি করা হয়েছে কোভিড আইসোলেশন কেয়ার ইউনিট। ইতিমধ্যে সেখানে ছয়জন রোগীকে রাখা হয়েছে। এই ছয়জনের রিপোর্ট পজিটিভ এলেও এঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও ইংরেজবাজার ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে ওই ছয়জনকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে। ইংরেজবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরি বলেন, আইসোলেশন কেয়ার ইউনিটে ছয়জনকে রাখা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সেখানে কোনও চিকিৎসক থাকছেন না। তবে নিয়মিত চিকিৎসক বাইরে থেকে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করছেন।
মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহর সংলগ্ন চন্দন পার্ক এলাকায় ১০০ বেডের আইসোলেশন কেয়ার ইউনিট তৈরি হয়েছে। সেখানে ইংরেজবাজার, হবিবপুর ও বামনগোলা ব্লকের উপসর্গহীন করোনা সংক্রামিতদের চিকিৎসা করা হবে। মালদায় আইসোলেশন কেয়ার ইউনিটে ৩০টি বেড চালু করা হয়েছে। সেখানে রোগী ভর্তি করা হলেও ২৪ ঘণ্টা সেখানে চিকিৎসক, নার্স বা অন্য স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন না। নিদিষ্ট সময়ে গিয়ে চিকিৎসক ওই রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও দেখভাল করে আসবেন। চিকিৎসাধীন রোগীরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের জন্য সেখানে ওষুধ রাখা হয়েছে। জরুরিভিত্তিক সেই ওষুধ তাঁরা খেতে পারবেন। রোগীদের দেখভালের জন্য হাসপাতালের বাইরে পুলিশি পাহারা রয়েছে। কোনও রোগী অসুস্থ হলে তাঁরাই চিকিৎসকদের খবর দেবেন। চিকিৎসক পৌঁছানোর আগে রোগীরা সেখানে রাখা ওষুধ খেয়ে কিছুটা সুস্থ হতে পারবেন।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে চিকিৎসাধীন কোনও রোগীর উপসর্গ দেখা দিলে তবেই তাঁকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এমনকি দ্বিতীয়বার লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু চিকিৎসাধীন কোনও রোগীর উপসর্গ না ধরা পড়লে কয়েকদিন নজরদারিতে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হবে। মালদার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, লালা সংগ্রহ করার সময় থেকে ১০ দিনের মধ্যে কোনও আক্রান্তের উপসর্গ ধরা দেখা না দিলে স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন মেনে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। আইসোলেশন কেয়ার ইউনিটে স্থায়ী চিকিৎসক থাকবেন না। নিয়মিত বাইরে থেকে চিকিৎসক গিয়ে রোগীদের দেখভাল করবেন। হঠাৎ কোনও রোগী অসুস্থ হলে, তাঁদের জন্য সেখানে বিভিন্ন রোগের ওষুধ রাখা হয়েছে। কোনও সমস্যা হলে কোন ওষুধ খেতে হবে তা লেখা রয়েছে। রোগীরা নিজে থেকেই ওষুধ খেতে পারবেন। অসুস্থ হওয়ার খবর দিলে সেখানে চিকিৎসক গিয়ে চিকিৎসা করবেন।