ভার্চুয়াল তরজায় যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি, শেষ হাসি ঘাসফুলের
বাংলায় প্রথম ভার্চুয়াল জনসভার প্রস্তুতি সাতদিন আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। স্মার্ট ফোন থেকে কী ভাবে ভার্চুয়াল সভার লিঙ্ক আরও অনেকের ফোনে শেয়ার করে দিতে হয়, সেটা দলের আইটি সেলের কর্মীদের পাশে বসিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা ও ব্লক স্তরের নেতা-কর্মীদের পাখি পড়ার মতো করে শিখিয়েছিলেন রাজ্য নেতারা।
চিরাচরিত জনসভা হলে ভিড়ের সংখ্যায় জল মেশানোর রাস্তা থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিলে ধরা পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। রাজ্যে বিজেপির সব পার্টি অফিসের বাইরে টিভি স্ক্রিন লাগানো হয়েছিল। সেখানে চলছিল ভার্চুয়াল সভার ইউটিউব লাইভ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আইটি সেলের কর্মীরা সকাল থেকেই তৎপর ছিলেন।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, ‘বিজেপির অফিসিয়াল পেজে ফেসবুক এবং ইউটিউবের ভিউয়ার যোগ করলে সংখ্যাটা পঞ্চাশ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে।’ তৃণমূল অবশ্য বিজেপির এই ভার্চুয়াল সভাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। শাসকদলের এক নেতার কথায়, ‘কারচুপি করে ভিউয়ের সংখ্যা বাড়ানো যায়। কিন্তু লাইক, কমেন্ট দেখুন — কোথাও লক্ষের ঘরেও পৌঁছয়নি। এর থেকে বোঝা যায়, বিজেপি দলটাই এখন ভার্চুয়াল হয়ে গিয়েছে।’
অন্যদিকে, সারাদিন বিজেপির এই সমাবেশকে ‘ফ্লপ’ প্রতিপন্ন করতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা টুইটারে #BengalRejectsAmitShah হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করতে ব্যস্ত ছিলেন। একদিকে যখন বিজেপির জন সংবাদ হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করছিল, অন্যদিকে তৃণমূলের এই হ্যাশট্যাগ অনেক সময় ধরে ‘টপ ট্রেন্ড’ ছিল টুইটারে।