মনের রঙ ফেরাতে বদলে ফেলুন চুলের রঙ
বাড়িতে থাকতে থাকতে অনেকেরই সাজগোজের অভ্যেস চলে গেছে। মেকআপ সামগ্রী প্রায় শুকোতে বসেছে। মেকআপ করতে না পারলেও বাড়ি বসে চুল তো রঙ করেই নিতে পারবেন। দেখবেন সাথে সাথে ফিরে আসবে মনের রঙ-ও। রঙ করতে পারেন পুরো চুল বা চুল পার্ট করে বিভিন্ন অংশ।
• নর্মাল হাইলাইট:
মাথার সমস্ত চুল ভাগ করা হয় কয়েকটি স্ট্র্যান্ডে। এমন জায়গা থেকে এই চুলের গোছা বাছবেন যাতে কালার করার পরে তা চুলের ভলিউম বেশি দেখাতে সাহায্য করে। এ বার চুলের স্ট্র্যান্ডে রং করে নিন।
• বেবিলাইট:
অনেকটা হাইলাইটের মতোই, আরও আলতো। এ ক্ষেত্রে হাইলাইটের মতো অত মোটা চুলের গুচ্ছ নেওয়া যাবে না। বরং সরু সরু চুলের স্ট্র্যান্ড বেছে নিয়ে তাতে রং করতে হবে। এতে চুলে হাইলাইট বেশ ঘন হবে কিন্তু দেখাবে হালকা।
• ওয়ান স্ট্রিপ হাইলাইট:
কিছু দিন আগেই সারা আলি খানকে চুলে তুঁতে রং নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। কিন্তু বাকি চুলের রং স্বাভাবিক। চুলের মধ্যে থেকে এই একটা চুলের স্ট্র্যান্ড বেছে তাতে স্ট্রাইকিং কালার করে ওয়ান স্ট্রিপ হাইলাইট করতে পারেন।
• ওম্ব্রে:
চুলের একদম নীচে থাকবে গাঢ় রং। উপরের দিকে ক্রমশ সেই রং হালকা হতে হতে চুলের স্বাভাবিক রং ধারণ করে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পটু হাতের। কারণ দুটো রঙ যেন নিখুঁত ভাবে মেশে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
• ব্যালেয়াশ:
ওম্ব্রে গ্রেডিয়েন্টের মতোই এই হাইলাইট। কিন্তু দুটো রঙের মিশেল অত নিখুঁত হয় না। বরং খালি হাতেই রং লাগানো হয় চুলের নীচ থেকে উপরের দিকে। দুটি রঙের মাঝের ভাগটি স্পষ্ট বোঝা যাবে। চুলের ভলিউম বেশি লাগে।
• আন্ডারনিথ কালার:
এই হাইলাইট এখন হালফ্যাশন।বাইরে থেকে চুলের রং একই থাকবে। ঘাড়ের কাছে চুলের ভিতরের দিকেই এই রং করা হয়। চুল টেনে মাথার উপরে তুলে পনিটেল বা খোঁপা বাঁধলে তবে এই কালার দেখা যায়। চুল তুলে বাঁধলে যাতে চোখে পড়ে, তাই গাঢ় রং করা হয়।
• টিপ কালারিং:
চুলের একদম শেষ প্রান্তে এই ধরনের কালার করা হয়। চুল কাটলেই এই ধরনের রং চলে যায়। লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইলে টিপ কালার সবচেয়ে ‘সেফ’।
চুল রঙ করলে যত্নও জরুরি। জেনে নিন কিভাবে নেবেন রঙ করা চুলের যত্নঃ
• রঙ করা চুলের জন্য শ্যাম্পু, কন্ডিশনার সব আলাদা হয়। তাই সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
• রং করার দিন দুয়েকের মধ্যে কড়া রোদে বেরোবেন না। তা হলে রং নষ্ট হয়ে যায়।
• চুল মসৃণ করার জন্যে মাস্ক বা হেয়ার প্যাকও লাগাতে হবে প্রত্যেক সপ্তাহে।