এই প্রথম করোনামুক্তের সংখ্যা পিছনে ফেলল চিকিৎসাধীনের সংখ্যাকে
করোনা যুদ্ধে প্রথম বড় সাফল্য পেল ভারত৷ এই প্রথম দেশে করোনা নিয়ে চিকিৎসাধীন (অ্যাক্টিভ রোগী) ব্যক্তির তুলনায় করোনামুক্ত হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেল৷ ৩০ জানুয়ারি কেরালায় প্রথম করোনা রোগী পাওয়ার খবরের মাধ্যমে যে দীর্ঘ লড়াই শুরু হয়েছে, সেই লড়াইয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তরে এই সাফল্য মিলল৷ বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, দেশে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হল ১,৩৩,৬৩২৷ আর করোনাকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই সুস্থ ১,৩৫,২০৫ জন৷ সরকারি হিসেবে দেশে করোনামুক্তির হার ৪৮.৯০%৷
সাফল্যের এই একই রাস্তায় এগিয়ে চলতে দেখা যাচ্ছে বাংলাকেও। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া বুলেটিন বলছে, পশ্চিমবঙ্গেও করোনামুক্তির হার কাছাকাছি— ৪০.৫১%। ঠিক একমাস আগে এই হার ছিল ২০.৮৩%, যা গত ৩১ দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৩ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯,৩২৮, যার মধ্যে ৫,১১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬৭, আর রোগমুক্ত হয়েছেন ১৫৯ (মোট ৩৭৭৯) জন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এখনও এ রাজ্যে করোনাজয়ীর সংখ্যা চিকিৎসাধীনের চেয়ে বেড়ে গিয়ে দেশের এই সাফল্যকে ছুঁতে পারেনি বটে। কিন্তু অচিরেই সে দিন দেখা যাবে। মনে রাখতে হবে, বাংলায় প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছিল ১৭ মার্চ, দেশের ঠিক দেড় মাস পরে।’ তাঁদের আশা, বাংলার এখন যা অবস্থা, তাতে করোনাজয়ীর সংখ্যা অ্যাক্টিভ রোগীর চেয়ে বেশি হতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধন মনে করেন, করোনা যুদ্ধে দেশের জনতার সম্মিলিত লড়াইয়েই এই সাফল্য।