সাগরে ৭০ শতাংশ এলাকায় ফিরেছে বিদ্যুৎ
কয়েক হাজার ভাঙা বাতিস্তম্ভ এবং ট্রান্সফরমার নতুন করে বসিয়ে সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের সত্তর শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ। বাকি ত্রিশ শতাংশ এলাকায় যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ চলছে। প্রশাসনের এক কর্তা ও সাগরের বিধায়কের কথায়, প্রচুর বাতিস্তম্ভ পড়ে গিয়েছে। তা জোগাড় করে কাকদ্বীপ থেকে জলপথে আনতে সময় লাগছে। তাছাড়া মুড়িগঙ্গায় ভাটার সময় প্রতিদিন ছ’থেকে সাত ঘণ্টা জল থাকে না। সেই কারণেও একটু দেরি হচ্ছে। তবে যে সমস্ত জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়নি, সেখানে আগামী দশদিনের মধ্যে আলো এসে যাবে বলে তাঁদের দাবি।
বার বার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ে যাওয়ার জন্য সাগরে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। কচুবেড়িয়া থেকে রুদ্রনগর ব্লক অফিস এবং হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার মাটির তলা দিয়ে কেবল লাইন টানা হয়েছে। যাতে এমন পরিস্থিতি হলে দ্রুত বিদ্যুৎ আনা সম্ভব হয়। গত ২০ মে উম-পুনের জেরে গোটা সাগর জুড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই কেবল লাইন থাকার জন্য কচুবেড়িয়া থেকে রুদ্রনগর পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে সরকারি অফিস, হাসপাতাল সহ একাধিক বাড়িতে আলো এসে যায়। পরবর্তী ধাপে তিন থেকে চারদিন পর কপিলমুনির মন্দির সহ ওই এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে। তবে এখন গ্রামের ভিতরে বেশ কয়েকটি জায়গায় কাজ করতে সময় লাগছে। সেই কারণে বামনখালির কোম্পানিরচক, সুমতিনগর সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়নগর, গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর, ধবলাহাট, শিবপুর এবং কচুবেড়িয়া ঘেঁষা বকুলতলা, ক্ষীরকুলতলা বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে। একইভাবে নামখানা ব্লকের হরিপুর, দেবনিবাস, বিজয়বাটি, চন্দনপিড়ি, মদনগঞ্জ, পাতিবুনিয়া ও মৌসুনি দ্বীপে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, মৌসুনি দ্বীপের সংযোগ হয় শিবপুরের দুর্গাপুর টাওয়ার থেকে। ঝড়ে দুর্গাপুরের সেই বড় টাওয়ার একেবারে ভেঙে গিয়েছে। তা মেরামত করার দক্ষ লোক এখানে নেই। ঝাড়গ্রাম থেকে আনতে হবে। এ ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তবে সেই কাজ শেষ হতে আগামী একমাস লেগে যাবে।
এদিকে বিপর্যয়ের পর একুশ দিন কেটে গেলেও ওই সব অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় সমস্যা হচ্ছে। পানীয় জল, মোবাইল চার্জ দেওয়া, টিভি দেখা- সব বন্ধ।